চবি ক্যাম্পাসে অনশনে দিয়াজের মা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানের "হত্যাকারীদের" গ্রেফতারের দাবিতে অনশনে বসেছেন তার মা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশন ভঙ্গ করার চেষ্ঠার পর আজ দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দ্বিতীয়বারের মত অনশনে বসেন।
Diaz's Mother
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানের ‘হত্যাকারীদের’ গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দ্বতীয়বারের মত অনশনে বসেন তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। ছবি: স্টার/মো. আব্বাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানের "হত্যাকারীদের" গ্রেফতারের দাবিতে অনশনে বসেছেন তার মা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশন ভঙ্গ করার চেষ্ঠার পর আজ দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দ্বিতীয়বারের মত অনশনে বসেন।

দিয়াজের মৃত্যুর এক বছর পর “হত্যাকারী” ও তৎকালীন প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনশনে বসেন জাহেদা আমিন চৌধুরী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দ্য ডেইলি স্টার-এর চবি প্রতিনিধি জানান, অনশন ভঙ্গ করতে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ও নার্সরা জোর করে তাকে এম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বক্তব্য হল, তিনি অসুস্থ।

এম্বুলেন্সটি মেডিকেল সেন্টারে পৌঁছানোর পর জাহেদা জোর করে সেখান থেকে নেমে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন।

এই ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক কামরুল হুদা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর পৌনে ১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহেদা অনশনে ছিলেন।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ২ নম্বর গেটের পাশে দিয়াজের বাড়িতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দিয়াজ তখন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ছিল। লাশ পাওয়া যাওয়ার সময় তার পরিবারের কেউ সেখানে ছিল না।

জানালা দিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে প্রতিবেশিরা প্রথম পুলিশকে খবর দেন। দিয়াজের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি জানিয়ে তার পরিবারের অভিযোগ, হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এনামুল হক অভি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের পা বিছানার সাথে লেগে ছিল। এ থেকে তাদের ধারণা দিয়াজ আত্মহত্যা করেনি।

দিয়াজের মা জাহেদার অভিযোগ, চবি প্রশাসনের সাথে যুক্ত একজন শিক্ষক ও ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ নেতা তার সন্তান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। টেন্ডার নিয়ে রেষারেষির কারণে তাকে “হত্যা” করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এই মায়ের।

Click here to read the English version of this news

Comments