‘ও আমার বল একেবারে মুখস্থ করে ফেলেছে’

বয়সভিত্তিক দল থেকেই একসঙ্গে খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শাস্ত। কার কি দুর্বলতা, শক্তির জায়গাই বা কি। একে অন্যের সব খুঁটিনাটি জানেন। একসঙ্গে খেলতে সমস্যা নেই। কিন্তু যখনই একে অন্যের প্রতিপক্ষ, দুজনেই চান বন্ধুর ‘চেনা দুর্বলতার’ ফায়দা নিতে। সোমবার রাতে যেমন তা করে ষোলআনা সফল শান্ত।
বিপিএলে শুরু থেকে সব ম্যাচ খেলেও রান পাচ্ছিলেন না শান্ত। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে কাটল সে খরা। ৩১ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়েছেন। কিন্তু শুরুর ঝড়ে তিনিই দেখিয়ে যান পথ। মেরেছেন দুই ছক্কা আর পাঁচ যার। এরমধ্যে দুই ছক্কা আর তিন চারই মিরাজের বলে। বন্ধুর বলের ভাউ চেনা বলেই নাকি বাড়তি সুবিধা শান্তর। ম্যাচ শেষে মিরাজই জানালেন তা, ‘আমি আর শান্ত প্রায় আট বছর একসাথে ক্রিকেট খেলি, ও আমার বল একেবারে মুখস্থ করে ফেলেছে খেলতে খেলতে। ও ভালো জানে আমি কোন জায়গায় বল করি, কিভাবে করি। আমিও জানি ও কি টাইপের শট খেলে। দুজনেই জানতাম দুজনকে। ও যদি আউট হত আমি সফল হতাম, ও ভাল করছে এখন ও সফল। এটাই ক্রিকেট।’
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জেতার খুব দরকার ছিল রাজশাহী কিংসের। ৬৮ রানের বিশাল হারে খাদের কিনারে চলে গেছে তারা। বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও অনেক যদি কিন্তু হিসেবে ঝুলে আছে তাদের শেষ চারে যাওয়ার মিশন, ‘আসলে আজকের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিততে পারলে সমীকরণ সহজ থাকত। কিন্তু এখনো কঠিন হয়ে গেছে। খেলায় কিন্তু সব সময় সুযোগ থাকে, এখনো আমাদের সুযোগ আছে। বাকি সব জিততে পারলে একটা চান্স থাকবে।’
টস জিতে খুলনা টাইটান্সকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল রাজশাহী কিংস। ফলটা হয় উলটো। শান্ত, আফিফ, পুরান আর ব্র্যাথওয়েটদের তাণ্ডবে ২১৩ রান করে ফেলে তারা। যা তাড়া করে পেরে উঠেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। মিরাজ দায় নিচ্ছেন বোলারদেরই, ‘আসলে টি-টোয়েন্টি সব সময় বোলারদের খেলা। বোলাররা ভাল করলে ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হয়ে যায়। বেশিরভাগ দিন ম্যাচ কিন্তু বোলাররাই জেতায়। আমাদের মূল যারা বোলার আমি ও মোস্তাফিজ আমাদের দুজন থেকেই অনেক রান হয়ে যায়। আমরা দুজন মিলে প্রায় একশ রান দিয়ে দিয়েছি ৮ ওভারে। আমরা যদি ভাল কিছু করতে পারতাম বিদেশি যারা ছিল তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যেত। টি-টোয়েন্টি ২০০ চেজ করে জেতা কঠিন। ১৮০ এর মধ্যে রাখতে পারলে হয়ত কাজ হতো।’
চোট থেকে ফিরে ছন্দ পাচ্ছেন না মোস্তাফিজও। এদিন চার ওভারে ৪৮ রান দিয়ে পাননি কোন উইকেট। চোট থেকে ফেরায় নাকি ছন্দে ফিরতে সময় লাগছে ‘দ্য ফিজের’।
‘আমরা জানি মোস্তাফিজ টপ ক্লাস বোলার। একটা প্লেয়ার ইনজুরি থেকে আসলে শতভাগ দিতে পারে না। এরকম হঠাৎ করে ম্যাচ খেলা আসলেই কঠিন। সামনে তো জাতীয় দলের খেলা আছে, মোস্তাফিজ তাড়াতাড়ি ক্যামব্যাক করুক এটাই চাইব। ওর ফিরে আসা বাংলাদেশের জন্যই প্রয়োজন।’
Comments