এবার রূপালি পর্দায় হাজির হচ্ছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রফেসর শঙ্কু’
সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’ শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যোমক্যাশ বক্সী’, নীহার রঞ্জন গুপ্তের ‘কিরীটি রায়’; কিংবা সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘কর্ণেল নিলাদ্রী সরকার’, গোয়েন্দা-রহস্য গল্পের এই চরিত্রগুলো নিয়ে বাঙালির আজও কৌতূহলের শেষ নেই।
আর তাই ঘুরে ফিরে মুদ্রিত অক্ষরের বাইরে চলচ্চিত্র-নাটকেও এসেছে রহস্য-প্রিয় বাঙালির গোয়েন্দা চরিত্রগুলো। কিন্তু, কিছু চরিত্র এখনও পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটেনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের 'নকড়বাবু ও এলডোরাডো' উপন্যাসের মূল চরিত্র প্রফেসর শঙ্কু।
এবার ফেলুদার পর সত্যজিৎ রায়ের আরেক জনপ্রিয় চরিত্র বিজ্ঞানী ‘প্রফেসর শঙ্কু’ হাজির হচ্ছেন রূপালি পর্দায়। কল্পবিজ্ঞান নির্ভর ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো’ চলচ্চিত্রটি কলকাতার শ্রী ভেঙ্কাটেশ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে। সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়ই এর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানালেন প্রয়োজক সংস্থার কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহতা। তিনি বললেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে ছবির শুটিং শুরু হবে। এর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।”
দাড়িওয়ালা সেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রখ্যাত অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং নকুড়বাবুর চরিত্রে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
‘প্রফেসর শঙ্কুর ও এলডোরাডো’ তৈরির এই ঘোষণার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সন্দীপ রায় নিজেও। সাংবাদিকদের তিনি বললেন, “নকুড়বাবু ও এলডোরাডো অবলম্বনে তৈরি করা হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটি। প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্রটি শুধুমাত্র একটি বাঙালি বিজ্ঞানী চরিত্র নয়, এটি একটি বৈশ্বিক চরিত্রও।”
তাঁর মন্তব্য, “বেশ কিছু ভাষার ওপর দক্ষতা থাকা চাই অভিনেতার। বিশেষ করে ইংরেজির ওপর দখল থাকতেই হবে। বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা ও শারীরিক ভাষাও প্রয়োজন। এসব বিবেচনা করে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় আমার চোখে এই চরিত্রের জন্যে সেরা বলেই মনে হয়েছে।”
রূপালি পর্দার ভাবি ‘প্রফেসার শঙ্কু’ অর্থাৎ ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ের মতে, লেখা এবং আঁকাতে বাঙালির মধ্যে একটি স্কেচ বহু আগেই তৈরি হয়ে রয়েছে। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মনের স্কেচের সঙ্গে রূপালি পর্দার এই চরিত্র মিলিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তিনি বললেন, “এর জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন সেটি নিতে শুরু করেছি।” তবে এটি জীবনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেও মনে করছেন ধৃতিমান।
নকুড়বাবুর চরিত্রের শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ভীষণ খুশি। বললেন, “কিছু চরিত্রে বাঙালির মনে গেঁথে আছে, থাকবেও। সেই চরিত্রে অভিনয় করা জীবনে বড় সুযোগ ও পরীক্ষাও বটে। সেই পরীক্ষার সেটে বসতে পেরে ভালো লাগছে। বাকিটা পর্দায় দেখে রায় দেবেন দর্শকরা।”
Comments