চিরবিদায় নিলেন শশী কাপুর
চলে গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বর্ষীয়ান অভিনেতা শশী কাপুর। দেশটির বাণিজ্য নগরীর মুম্বাইয়ের ধিরুভাই আম্বানি কোকিলা বেল হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দুটি কিডনি কাজ না করায় প্রায় দুই বছর ধরে হাসপাতালটিতেই তার ডায়ালাইসিস চলছিল।
অভিনেতা রণবীর কাপুর সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে এই মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে আজ মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের শশী কাপুরের শেষকৃত্যানুষ্ঠান হওয়ার কথা জানান।
শশী কাপুর এক মেয়ে সাঞ্জনা কাপুর এবং দুই ছেলে কুণাল ও করণ কাপুরসহ বলিউডের বিশাল এক কাপুর পরিবারের সদস্যদের রেখে গেলেন। ১৯৮৪ সালে ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী জেনিফার প্রয়াত হয়েছিল।
১৯৩৮ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শশী কাপুর।
বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বলিউড এবং ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গন। সোমবার রাতেই হাসপাতালে গিয়ে শশীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সুপার স্টার অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন ছাড়াও বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন অন্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
১৯৪৮ সালে শিশু অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু হলেও ‘ধর্মপুত্র’ চলচ্চিত্র দিয়েই পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন পৃথ্বিরাজ কাপুরের ছোট ছেলে শশী কাপুর। ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে কাপুর পরিবারের আরো দুই কিংবদন্তি নাম রাজ কাপুর ও শাম্মি কাপুরও তার সহোদর।
সত্তর থেকে আশির দশকে শশী কাপুর ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র। মাত্র এক দশকেই ১১৬টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
নেমক হালাল, সিলসিলা, উৎসব, কাভি-কাভি, কালাপাথ্থর, সত্যম-শিবম-সুন্দরম, যবযব ফুলখিলে, চোর মাচায় শোর, মুক্তি, জুনুন এবং ফকিরা তার অভিনীত সুপার হিট ছায়াছবি।
২০১১ সালে পদ্মভূষণ ছাড়াও ২০১৫ সালে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অঙ্গনের পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকেও পেয়েছেন শশী কাপুর।
Comments