প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ ঢাকা

অল্প রান করেও ৪৩ রানে জিতে নিশ্চিত করেছে তা। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এখন কুমিল্লা।

এই ম্যাচ জেতা-হারায় রংপুরের কিছু যায় আসত না। সেরা দুইয়ে উঠার সুযোগ আগেই হারিয়েছে তারা। ফলাফল যাইহোক ফাইনালের দৌঁড়ে এগুতে হলে পেরুতে হবে এলিমিনেটর ধাপ। তবে ঢাকার সমীকরণ ভিন্ন, জিতলেই খেলবে কোয়ালিফায়ার। অল্প রান করেও ৪৩ রানে জিতে নিশ্চিত করেছে তা।  ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এখন কুমিল্লা।

নিজেদের জন্য নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলেই কিনা রংপুরের একাদশে সাত বদল। ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাও। তার বদলে অধিনায়কত্ব করেন ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এমন ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে ঢাকার ১৩৭ রানের জবাবে ২০ ওভার ব্যাট করেও ৯৪ রানে থেমেছে রংপুর।

৮ ডিসেম্বর তাই এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে খুলনা টাইটান্সকে। সেদিনই সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ারন্সের প্রতিপক্ষ হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এলিমিনেটরে জেতা দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারার দলের সঙ্গে ১০ তারিখ খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। দুই কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল ১২ ডিসেম্বরের ফাইনালে লড়বে।

এদিন আগে ব্যাট করে ঢাকা মাত্র ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রংপুরকে। রংপুরের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মন্থর পিচে সেটাই হয়ে যায় পাহাড়সম। ওপেন করতে নেমে রান পাননি অ্যাডাম লিথ। দ্বিতীয় ওভারেই তাকে তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথমবারনামা আরেক ওপেনার জনসন চার্লস টিকে ছিলেন। অন্য দিকে ম্যাককালাম, শাহরিয়ার নাফীসরা এসেছেন আর গিয়েছেন। পরে ২৬ রান করে থেমেছে চার্লসের দৌঁড়। আগের ম্যাচের হিরো মিঠুন এদিন ব্যর্থ। ৩৯ রানেই প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় রংপুর। ধুঁকতে ধুঁকতে বাকিটা সময় কেবল হারের ব্যবধান কমানোর জন্য খেলেছে রংপুর। তাতে ২৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান রবি বোপারা।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন সাকিব। তার  উইকেটের ভাষা পড়তে গোলমাল হয়ে থাকতে পারে। কারণ সেই ছাপ দেখা গেছে ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটিংয়ে। রংপুরের প্রায় নতুন  বোলিং লাইনআপের সঙ্গে ৫০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারায় সাকিবের দল। ৬ষ্ঠ উইকেটে মেহেদী মারফকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক সাকিবই। মারুফ ২৩ বলে ৩৩ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন। মারুফের আউটে নামা পোলার্ড পারেননি ঝড় তুলতে। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন সাকিব। তার ব্যাটেই দল পায়  রানের পূঁজি। ৩৩ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ঢাকা অধিনায়ক। ব্যাটিং এর মতো বল হাতেও সেরা পারফর্মার সাকিব। ৪ ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার অধিনায়কের অলরাউন্ড নৈপুন্যেই জিতল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ডায়নামাইটস:১৩৭/৭ (নারিন ৪, লুইস ১৪, ডেনলি ৯, জহুরুল ৫, মোসাদ্দেক ১০, মারুফ ৩৩, সাকিব ৪৭*,পোলার্ড ৬, আমির ৩*; বাদ্রি ১/১৮, রুবেল ২/৩২, নাহিদুল ১/১২, এবাদত ১/৩৭, রাজ্জাক ১/২৩, ১/১২)

রংপুর রাইডার্স: ৯৪/৭ (চার্লস ২৬ , লিথ ৩, ম্যাককালাম ১, শাহরিয়ার ৭, মিঠুন ২, বোপারা ২৮*, নাহিদুল ১৩, রাজ্জাক ১৩, বাদ্রি ০*    ; মোসাদ্দেক ১/১৩, সাকিব ২/১৩, নারিন ১/১৮, রনি ২/২৩, আমির ১/১৫, সাদ্দাম ০/৬  )

টস: ঢাকা ডায়নামাইটস।

ফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৪৩ রানে জয়ী।


 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago