‘ভালো উইকেট দেন, আমি আর গেইল বড় রান করব’
বিপিএলে ঢাকা পর্বের সব ম্যাচেই আলোচনায় উইকেট। মিরপুরে ২২ গজ যেন অনেকটা ভিলেনের চরিত্রে। মন্থর গতির সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্বাভাবিক অসমান বাউন্স। এই উইকেট নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন মাশরাফি মর্তুজা, কড়া সমালোচনা করে শোকজ পেয়েছেন তামিম ইকবাল। এবার উইকেট নিয়ে হতাশা জানালেন ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম।
বিপুল হাইপ তোলে রংপুর রাইডার্স দলে ভেড়ায় ক্রিস গেইল আর ব্র্যান্ডন ম্যাককালামকে। গেইল দুটি ফিফটি পেলেও ম্যাককালামের ব্যাট এখনো নিরব। গেইলের ফিফটিও ঠিক তার মতো ঝড় তুলে নয়। মন্থর আর অসমান বাউন্সের উইকেটই নাকি বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের কাবু করে রেখেছে। বুধবার আগে ব্যাট করে ঢাকা ডায়নামাইটস মাত্র ১৩৭ রান করে। সেই রান তাড়ায় গিয়ে ২০ ওভারে মাত্র ৯৪ তুলতে পেরেছে রংপুর। ম্যাককালাম এই উইকেটকে বলছেন ‘পুওর’, ‘আমার মনে হয় এটা খুব ‘পুওর’ উইকেট ছিল। এখানে অনেক ভালো, বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। এখানে মানুষজন রোমাঞ্চকর ক্রিকেট দেখতে চায়। আমার মনে হয় না তারা আজ এরকম কোনো ম্যাচ দেখতে পেয়েছে। আমার মনে হয় আজ যা হয়েছে তার চেয়ে ভালো উইকেটে সামনে খেলা হওয়া উচিত।’
বিপিএলে এ পর্যন্ত ৯ ইনিংসে ১৫২ রান করতে পেরেছেন মাককালাম। তার নামে ভারের সঙ্গে যা বেশ বেমানান। ভালো না করার পেছনেও দায় দিচ্ছেন উইকেটের। হঠাৎ বল নেমে যাচ্ছে হাঁটুর নিচে, কোনটি আবার লাফিয়ে উঠছে পিংপং বলের মতো। উইকেট নিয়ে বেশ চিন্তায় ম্যাককালাম , ‘অবশ্যই, আমি আরও বেশি রান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত বেশ কিছু বছরে আমি অন্যরকম উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত। এখানে তো আমি টার্ন আর বাউন্সের ব্যাপারে নিশ্চিতও হতে পারছি না। বল কখনো কখনো ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি অনেকের সাথে কথা বলেছি, ওরা জানিয়েছে আগে পিচ বেশ ভালো ছিল। কিন্তু একজন স্ট্রোকমেকার হিসেবে এখানে খেলা অনেক কঠিন হচ্ছে। অবশ্যই, আমার পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। তবে আরেকটু ভালো উইকেট পেলে ভালো হতো।’
টি-টোয়েন্টির সব পর্যায়েই গেইল-ম্যাককালাম সেরা দুই ব্যাটসম্যান। তারা একসঙ্গে ব্যাট করেও ঝড় তুলতে পারছেন না। দর্শকদের হতাশার কথা বুঝে ম্যাককালামের কথা, ‘ভালো উইকেট দেন তাহলে আমি ও ক্রিস বড় রান করব।’
গেইল-ম্যাককালামের খেলা দেখার আর বাকি আছে বড়জোর তিন ম্যাচ। চার নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফাই করা রংপুর রাইডার্স এলিমিনেটর খেলবে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ জিতলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে মাশরাফিরা। ওই ম্যাচ জিতলে তবে ফাইনাল। তবে এলিমিনেটের ম্যাচে হারলেই সব সমীকরণ সেখানেই শেষ।
Comments