মিসড কলে প্রেম!

প্রেমিকাকে দেখতে গিয়ে ভারতের শ্রীঘরে বাংলাদেশি কিশোর

মিসড কলে প্রেম হয়ে গিয়েছিল। প্রেমের টানে তাই সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেও এসেছিলো বাংলাদেশি কিশোর প্রেমিক। কিন্তু বিধি বাম। প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম দেখা করার দিনই ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি কিশোর প্রেমিককে শ্রীঘরে যেতে হলো।
ভারতের শ্রীঘরে বাংলাদেশি কিশোর অন্তর সিং
প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম দেখা করার দিনই ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বালিয়ার বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অন্তর সিং-কে (বামে) শ্রীঘরে যেতে হয়। ছবি: স্টার

মিসড কলে প্রেম হয়ে গিয়েছিল। প্রেমের টানে তাই সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেও এসেছিলো বাংলাদেশি কিশোর প্রেমিক। কিন্তু বিধি বাম। প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম দেখা করার দিনই ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি কিশোর প্রেমিককে শ্রীঘরে যেতে হলো।

পঞ্চগড় জেলার বালিয়ার বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরের নাম অন্তর সিং। ১৯ বছর বয়সী ওই কিশোরের সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে প্রেম করছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার দোডালিয়া পাতকাটা গ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া কিশোরী। গত ১২ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলা সদর থানার পুলিশ অন্তরকে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস।

পরের দিন বাংলাদেশি প্রেমিককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিশ্বেশ্বর জানান, ধৃত অন্তর সিং পুলিশকে জানিয়েছে, ফোনের মাধ্যমে ভারতীয় মেয়ের সঙ্গে তার দুই বছর ধরে প্রেম। কিন্তু, চোখের দেখা হয়নি। দুদিন আগে মোবাইলে ছেলেটিকে তার বাড়িতে আসার কথা জানায় মেয়েটি। সেই কথা মতো ভারতীয় প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছায় অন্তর। তবে বাংলাদেশি কিশোর প্রেমিককে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসীরা।

অন্তর পুলিশকে আরো জানায়, প্রেমিকাকে দেখতেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে সে। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার ভারতে এসেছিলো। কিন্তু, এবার প্রেমিকাকে বিয়ে করে সংসার করার জন্য পাকাপাকিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসে সে। এখানে সে কাঠের মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজও নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অন্তর সিং পুলিশকে জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ি হওয়ায় খুব সহজে ভারতীয় নেটওয়ার্কের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়। ভারতীয় নম্বর থেকে এক আত্মীয়কে ফোন করতে গিয়েই বছর দেড়েক আগে সুমিত্রা রায়ের ফোনে মিসড কল ঢুকে গিয়েছিল। সেই থেকে তাদের মধ্যে কথা শুরু হয়। সেই কথা থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

এই বিষয়ে ভারতীয় প্রেমিকা সুমিত্রা রায় কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি, এ নিয়ে তার পরিবারেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বাবুল বিশ্বাস নামে একজন এলাকাবাসী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে এলাকার একজন মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যায় না। মেয়েটির ভবিষ্যৎ রয়েছে।

তাই এলাকাবাসীরাই অন্তরকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago