‘অন্তরজ্বালা’-র জন্য ১৭টি বন্ধ সিনেমা হল চালু হয়েছে: জায়েদ খান

জায়েদ খান প্রথমে একজন অভিনেতা, তারপর নেতা। অভিনেতা হিসেবেই তিনি নিজের পরিচয়ের সীমানা বিস্তৃত করতে চেয়েছেন সেই প্রথম থেকেই। নিজের একটি ভীত গড়তে চেয়েছেন সিনেমায়। অনেক খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি; কিন্তু, দমে যাননি। এবার হয়তো শেষ হাসিটি হাসবেন এই অভিনেতা। ‘অন্তরজ্বালা’ সিনেমায় তাঁর চরিত্র, অভিনয়, ট্রেলার ও গান প্রথম থেকেই প্রশংসিত হয়ে আসছে। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৫ ডিসেম্বর। সারা দেশে ১৫৭টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে জায়েদ খান অভিনীত এবং মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তরজ্বালা’। ছবিটি মুক্তির আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন জাহিদ আকবর
স্টার অনলাইন: ‘অন্তরজ্বালা’ নিয়ে আপনার এই মুহূর্তের ভাবনা কী?
জায়েদ খান: ‘অন্তরজ্বালা’ ছবিটির সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত। এটি আমার আবেগের নাম। আমার দশ বছরের সিনেমা ক্যারিয়ারে অনেক কষ্ট করেছি। এই ছবি দিয়ে আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। ছবিটির জন্য নিজেকে পুরোপুরি পাল্টে ফেলেছিলাম। প্রতিদিন ছাদে উঠে রোদে বসে থাকতাম চেহারায় যেন তামাটে রং আসে। টানা দুদিন না খেয়ে ছিলাম চরিত্রের প্রয়োজনে।
স্টার অনলাইন: নিজেকে ভাঙার এই প্রচেষ্টা কেন?
জায়েদ খান: ভালো একটি ছবি দর্শকদের উপহার দেওয়ার জন্যেই এই প্রচেষ্টা। নির্মাতা আমাকে যখন যেভাবে বলেছেন নিজেকে সেভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছি। এর ফলাফল যদি মন্দ হয় তাহলে সিনেমাকে পেশা হিসেবে রাখবো কী না সেটিও ভাবতে হবে। এক জীবনে চলচ্চিত্রে যতটা সময় দিয়েছি বাবা-মাকেও মনে হয় এতো সময় দিইনি।
স্টার অনলাইন: সিনেমার গল্পটি নিয়ে যদি কিছু বলতেন।
জায়েদ খান: প্রয়াত নায়ক মান্না ভাইয়ের এক অন্ধ ভক্তের কাহিনী নিয়ে ‘অন্তরজ্বালা’-র গল্প। সেই ভক্তের চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। আমার বিশ্বাস আমার অভিনয় জীবনের নতুন টার্নিং পয়েন্ট হবে এ সিনেমাটি। পরীমণি এখানে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। বড়দা মিঠুসহ আরো অনেকেই ভালো অভিনয় করেছেন। ছবিটি দেখে দর্শকদেরও অনেকবার কাঁদতে হবে।
স্টার অনলাইন: আর বিশেষ কী বলতে চান?
জায়েদ খান: ‘অন্তরজ্বালা’ প্রদর্শনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৭টি সিনেমা হল নতুন করে চালু হয়েছে। একটি ছবির জন্য নিঃসন্দেহে এটি বিশেষ পাওয়া। এটিইতো চেয়ে এসেছি সিনেমায় আসার শুরু থেকে।
স্টার অনলাইন: সিনেমা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন?
জায়েদ খান: আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এমন পরিবারের ছেলেদের স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে ভালো একটি চাকরি করার। বাবা-মায়ের ইচ্ছেগুলো পূরণ করার। কিন্তু, সে সবকিছু বাদ দিয়ে আমি সিনেমায় এসেছি। সে কারণে এক সময় বাসা থেকে পকেট খরচ নেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সিনেমায় কাজ করবো বলেই সব বাধা পেরিয়ে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। সিনেমাকে ভালোবাসি বলেই এমনটি করেছি। আমি চেষ্টা করছি চলচ্চিত্রের এই সংকটে ভালো কিছু একটা করার। তবে একা কিছু করলে তো হবে না। অন্যদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
Comments