কলকাতায় বাংলাদেশ বিজয় উৎসব শুরু

​শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠল কলকাতায় ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব ২০১৭’। কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে উৎসবের সূচনা করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষকমন্ত্রী মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। পাঁচ দিনের এই আয়োজন সমাপ্তি ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।
কলকাতায় বাংলাদেশ বিজয় উৎসব ২০১৭ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক। ছবি: স্টার

শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠল কলকাতায় ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব ২০১৭’। কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে উৎসবের সূচনা করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষকমন্ত্রী মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। পাঁচ দিনের এই আয়োজন সমাপ্তি ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।

প্রতিবছর বিজয় উৎসবে বাংলাদেশের হরেক রকম পণ্য নিয়ে ‘মিনি বাণিজ্য মেলা’-এর আয়োজন করা হলেও এবার দৃশ্যটা উল্টো। নামমাত্র স্টল বসেছে। আর সেখানে নেই কোনও বেচা-কেনার অধিকার।

শুধু তাই নয়, গত তিন বছর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হলেও এবার সেই আয়োজন ফিরিয়ে আনা হয়েছে পুরনো পার্কসার্কাস এলাকার বঙ্গবন্ধু সরণির বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে।

অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে মঞ্চে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে প্রধান অতিথি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলকে স্বাগত জানান উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। আর অনুষ্ঠানের সভাপতি তৌফিক হাসান এবং বিশেষ অতিথি সাংবাদিক মানস ঘোষকেও অনুষ্ঠানে বরণ করে নেওয়া হয়। কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি কূটনীতিক ছাড়াও সাধারণ মানুষ এসময় অতিথির সারিতে বসেছিলেন।

অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে দিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে ভারত থেকে আসা সাংবাদিক মানস ঘোষ বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উত্থান নিয়ে বর্তমান সরকারকে আরো সজাগ থাকার আহবান জানান।

তবে ওই সাংবাদিকের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিলেও বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্বাচনের মাধ্যমে উৎখাত করবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

পর্যটন করপোরেশন, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধিদফতর ছাড়াও বাংলাদেশ বিজয় উৎসবে এবার একটি আসবাসপত্রের প্রতিষ্ঠান, দুটি শাড়ির স্টল এবং একটি বইয়ের স্টল বসেছে। তবে এই স্টল গুলোতে বেচা-কেনার কোনও সুযোগ রাখা হয়নি। এই নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

প্রিয়লতা বর্মণ নামে উৎসবে আগত এক নারী দর্শক শাড়ির দোকানে পছন্দের শাড়ি কিনতে পারলেন না। তিনি জানালেন, এই ধরনের উৎসবের জন্য সারা বছর আমরা অপেক্ষা করি। কিন্তু এবার বাংলাদেশি পণ্য কেনার কোনও ব্যবস্থা নেই।

যদিও কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি বি এম জামাল হোসেন বলেন, দূতাবাসে অভ্যন্তরে এই ধরণের বাণিজ্য মেলা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই শুধু প্রদর্শনীর জন্য কিছু পণ্য রাখা হয়েছে।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উৎসব চলবে। হৈমন্তী শুক্লা, কবীর সুমন, মমতাজ, কুমার বিশ্বজিৎ ছাড়াও দুই বাংলার বেশ কয়েকজন নামী শিল্পী আগামী কয়েকদিন কলকাতার বাংলাদেশ বিজয় উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আর শেষ দিনের অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত বিষয়কমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago