রাখাইনে গণকবর নিয়ে তদন্ত করবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
(স্যাটেলাইটের ছবিতে নতুন ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩৫৪টি রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস করার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি তুলনা করতে ছবির মাঝের বারটিকে বামে অথবা ডানে টানুন।)
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে গণকবরের সন্ধান পেয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গণকবরটি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে সোমবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং-এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ইন দিন গ্রামে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনের একটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে গণকবরটিতে ঠিক কতগুলো লাশ পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩০টি চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে গত কয়েক মাসে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বলছে, রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও তারা জানিয়েছে।
গণকবর প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী বলেছে, “লোকজনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হচ্ছে এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছে।”
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, “প্রাথমিক তদন্তের পর ইন দিন গ্রামে একটি অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনা জানতে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।” মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাধারণত ফেসবুকেই বিভিন্ন বিবৃতি প্রকাশ করে থাকে। এ ব্যাপারে রয়টার্সের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
Comments