এই ট্রফি সাবিনার জন্য

গেল সেপ্টেম্বরে জ্বরে ভোগে মারা যান ময়মনসিংহের কলসিন্দুর স্কুল থেকে উঠা আসা সাবিনা। তবে না থেকেও ঠিকই থাকল সে।
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসবে থাকতে পারত সাবিনা আক্তার। গেল সেপ্টেম্বরে জ্বরে ভোগে মারা যায় ময়মনসিংহের কলসিন্দুর স্কুল থেকে উঠা আসা সাবিনা। তবে  না থেকেও ঠিকই থাকল সে। তাকে ধরে রাখল তার বন্ধুরাই। চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা যে তাকেই উৎসর্গ করেছে বাংলাদেশ। 

সতীর্থের অকাল মৃত্যুর কষ্ট বুকে নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী দল। অপরাজিত থেকে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সেরার মুকুট। অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা তাই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উৎসর্গ করল সাবিনাকে। 

‘সাবিনা আমাদের দলেই থাকত। কিন্তু সাবিনা না থাকায় ওর নামেই আমরা এই ট্রফি উৎসর্গ করছি। একটা বিশাল ব্যাপার যে আমরা সবাই মিলে দেশের জন্য বড় কিছু করতে পেরেছি। দেশকে ভাল খেলা উপহার দিতে পেরেছি।’

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় বল দখলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা। ভারতের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রেখে বারবার আক্রমণে উঠেছে অধিনায়ক মারিয়া, মনিকা, আনুচিং, শামসুন্নাহার। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দেওয়া তালিম মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজিয়ে সাফল্য পেয়েছে তারা, 

‘আমরা ওদের দুর্বলতা দেখে সেই মতো প্ল্যান করে খেলেছি। ওরা একটু উপরে উঠে খেলে। আমরা সেটা দেখেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। আমি, মনিকা, আনুচিং, শামসুন্নাহার মিলে আক্রমণ করেছি।’

রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল হাজার দশেক দর্শক। দেশের ফুটবলের পড়তি সময়ে ছেলেদের সিনিয়র দলের খেলাতেও এত দর্শক হয় না। ভরপুর গ্যালারিকে আনন্দে ভাসায় কিশোরী ফুটবলাররা, বল পাসিং, ড্রিবলিং,পায়ের কারুকাজের মুগ্ধ করে রাখে তারা। ৪১ মিনিটে শামসুন্নাহারের দেওয়া একমাত্র গোলে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জিতে নেয় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবলের শিরোপা। 

Comments