পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশ, ২য় স্প্যান বসছে জানুয়ারিতে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর সামগ্রিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। পদ্মা নদী প্রবাহের দিক দিয়ে আমাজানের মতো অনিশ্চিত একটি নদী। নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও আমরা সেই নির্ধারিত সময় রাখতে পারিনা।
তিনি আরো বলেন, “সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসাতে আমাদের আরো একটু সময় লাগবে, এটি মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে। পদ্মার নিচে এতো বেশি অনিশ্চিত পরিস্থিতি সেখানে গভীরতা মিলিয়ে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের টার্গেট আমরা যথা সময়েই কাজ শেষ করবো।”
একটি দুইটি স্প্যান বসানোর পর সাত-আটদিন পর আরো ৩৯টি স্প্যান বসানো যাবে বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। যথাসময়ে কাজ শেষ হওয়ার বিষয়েও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নবনির্মিত মোস্তফাগঞ্জ সেতু উদ্বোধন এবং একই সঙ্গে আরও চারটি সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম, সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামনুর রশীদ, সিরাজদিখান ইউএনও তানভীর মো. আজিম, শ্রীনগর ইউএনও জাহিদুল ইসলাম, এএসপি কাজী মাকসুদা লিমা, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।
এর আগে তিনি শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ পরিদর্শন বাংলোর ভিত্তি প্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রায় ছয় মাসে গুরুত্বপূর্ণ এই পাঁচটি সেতুর কাজ সম্পন্ন করে। এর আগে এই পাঁচটি সেতুই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ।
চলতি বছরের ১৭ জুন সেতুমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের ৩০টি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে পাঁচটি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২৫টি সেতুর কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া, আরো ২০টি সেতুর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে ও প্রক্রিয়া শেষ হলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে বলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ২০২০ সালের মধ্যে জেলার সকল ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে আর সিসি (পিসি) সেতু নির্মাণ করা হবেও উল্লেখ করা হয়।
Comments