জাতীয় দলের ক্যাম্পে এসে রোমাঞ্চিত মেহেদী
বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে এখন দুই মেহেদী। একজন মেহেদী হাসান মিরাজ আরেকজন মেহেদী হাসান। নামের সঙ্গে তাদের খেলার ধরনেও মিল আছে। দুজনেই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। বয়সভিত্তিক দল থেকে একসঙ্গেই খেলেছেন। দুজনেরই উঠে আসা খুলনা বিভাগ থেকে। মিরাজ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে আলোয় এসে গেলেও এই প্রথম ডাক পেলেন মেহেদী।
বুধবার সকালে ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতির প্রথম দিনে ছিল ফিটনেস পরীক্ষা। সকালে ড্রেসিংরুমে গিয়ে কোথায় বসবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না মেহেদী। খানিকপর ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করে জড়তা। জাতীয় দলের ক্যাম্পে সকালটা তার কেটেছে রোমাঞ্চ আর অন্যরকম উত্তেজনায়, 'সকালটা একটু রোমাঞ্চকর ছিল। যেহেতু প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছি। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম শেয়ারের অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিল।'
'সবাই সবার চেয়ারে বসে ছিল ড্রেসিংরুমে। আমি কোন সিটে বসবো, সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। যেখানেই বসতে চাই, কারো না কারো সিট থাকেই। এতে একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছিল। দাঁড়িয়েই ছিলাম অনেকক্ষন।'
প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছেন। থাকতে চান মূল দলেও। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বল হাতেই আলোয় আসেন মেহেদী। তবে তিনি মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে খেলেছেন বড় বড় ইনিংস। বিপিএলের পর শেষ রাউন্ডেও ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী, 'আমি নিজেকে অলরাউন্ডারই মনে করি। যখন যেটা ভালো হয়, সেখানেই বেশি ফোকাস করি।'
মেহেদীর রোমাঞ্চের দিনে কাঁধে হাত রেখে পাশেই ছিলেন মিরাজ। জানিয়েছেন শুভকামনা, 'মেহেদী আমার খুবই ক্লোজ বন্ধু। আমি এবং ও অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে একসঙ্গে খেলেছি। খুলনা বিভাগের হয়ে একসঙ্গে খেলছি। খুব ভালো লাগছে ও জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছে। ভালো লাগছে খুলনা থেকে আরও একজন ক্রিকেটার উঠে আসছে। এছাড়া ওর নামও মেহেদি। ছোট বেলার আমার বন্ধু। ওকে আমি ছোটবেলা থেকে চিনি।'
বুধবার ফিটনেস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ব্যক্তিগত কারণে মাশরাফি মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস প্রথম দিন ছিলেন না। বাকিদের মধ্যে বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খেলার মধ্যে থাকায় সবারই বিপ টেস্টে ভালো ফল এসেছে।
১৫ জানুয়ারি থেকে মিরপুর শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ। পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট ও দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
Comments