৫ জানুয়ারি শক্তি প্রদর্শন করতে চায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি
সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে আগামীকাল ৫ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নিজেদের জনসমর্থন জানান দিতে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপি এবারও ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে। আর ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে দিনটি উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ ও ২০১৫ পরপর দুই বছর ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশে সহিংস পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই দিনটি ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আগামীকাল কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় দুটি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এর একটি হবে বনানী মাঠে ও অপর সমাবেশ হবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সব জেলা, উপজেলা ও মহানগর কমিটিকে দিনটি উদযাপন করতে বলা হয়েছে।
সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক বিবৃতিতে দিনটি উদযাপনে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আজ জানিয়েছেন, তারা এখনও সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি পাননি। “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আমরা সমাবেশ করতে চাই।”
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকে সেসময়ের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। ফলে দশম জাতীয় সংসদে ১৫৪ জন সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এই নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে দেশজুড়ে লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। প্রায় তিন মাস ধরে চলা সহিংসতায় শুধুমাত্র গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অন্তত ৯৫ জন নিহত ও প্রায় দেড় হাজার মানুষ আহত হন। ওই তিন মাসে পুলিশের গুলিতে মারা যান ৪৫ জন। বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দেশ।
Comments