তামিমের সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ঝড়, মুশফিকের দুইবার ব্যাটিং

সেঞ্চুরির পথে তামিমের শট। ছবি: স্টার

ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ভালোভাবেই ব্যাটিং ঝালাই করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগে ব্যাটিং পেয়ে তামিম করেছেন সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ওদিকে লাল দলের হয়ে ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক পেয়ে সবুজ দলের হয়েও ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। পরের ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রান। 

প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই নিয়ম কানুনের বালাই নেই। মূল খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি সেরে নেওয়াটাই আসল। হয়েছেও তাই। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে লাল দল আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ৩২০ রান করে। ওই রান টপকানোর কোন চেষ্টাই ছিল না সবুজ দলের। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যাটিং প্রস্তুতি সারতেই ব্যস্ত ছিলেন। তবে খুব একটা ভালো হয়নি সবুজ দলের প্রস্তুতি। ৪৩.৩ ওভারে ১৮৩ রান তুলে গুটিয়ে যায় তারা। আঙুলে চোট থাকাই এই ম্যাচ খেলেননি ইমরুল কায়েস।

তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নামা এনামুল হক বিজয় পারেননি বড় কিছু করে দেখাতে। ২১ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্টাম্প উড়ে যায় তার। ২৪ রানের বেশি আসেনি সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকেও। এই ম্যাচে কেবল ব্যাটিং করেছেন সাকিব। আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান তিনি। ওয়ানডাউনে নেমে প্রথম বলেই তাসকিনের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। তবে তামিম ছিলেন সেরা ছন্দে। উইকেট থিতু হয়ে রান বের করেছেন। মেরেছেন বড় বড় শট। ১০ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি বিশাল ছক্কা। নাজমুল অপুকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে পরের বলেই মারেন আরেক চার। এরপরই স্বেচ্ছায় ক্রিজ ছেড়ে চলে আসেন তিনি। 

পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ ছিলেন চনমনে। মূলত তার ব্যাটেই বড় সংগ্রহ পায় লাল দল। ৭৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট সহ-অধিনায়ক ফিরেছেন সাইফুদ্দিনের বলে।

ঘরোয় ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা সাব্বির রহমানের ব্যাটও হাসেনি। ২০ রান করে সাইফুদ্দিনকে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। শেষ দিকে আবুল হাসান রাজু করেছেন ৩৫ রান।

জবাবে ব্যাট হাতে কিছু করে দেখানোর সুযোগ ছিল সৌম্য সরকারের। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে খুব একটা ডানা মেলতে পারেননি এই বাঁহাতি। বরং মিঠুনই ছিলেন আগ্রাসী। আউট হওয়ার আগে ৩২ রান করে বিপিএলে ব্যাট হাতে নজরকাড়া মিঠুন। সৌম্য আউট হয়েছেন ১৮ রান করে। 

সবুজ দলের হয়ে ফের ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। লাল দলের হয়ে আগের ইনিংসে ব্যাটিং প্রস্তুতির ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন ধীরস্থির ব্যাট করে। সবুজ দলের সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে মেরেছেন মাত্র দুটি চার।

লাল দলের হয়ে রুবেল হোসেন ২১ রানে ও আবু হায়দার রনি ৫১ রানে তিনটি করে উইকেট নেন। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বিসিবি লাল: ৩২০/৬ ( তামিম ১০৪, এনামুল ২১,  সাকিব ২৪, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৮৭, সাব্বির ২০,  রাজু ৩৫, হায়দার ৪*, সানজামুল ৪*; মাশরাফি ০/৮৭, নাসির ০/২৬, মিরাজ ০/৩০, অপু ০/৪১, মোস্তাফিজ ২/৪৭, তাসকিন ২/৪৩, সাইফুদ্দিন ২/৪৪)

বিসিবি সবুজ: ১৮৩/১০ (মিঠুন ৩২, সৌম্য ১৮, লিটন ৭, শান্ত ১৩, নাসির ২৫, মুশফিক ৪৪*, আরিফুল ৯, সাইফুদ্দিন ১৩, মাশরাফি ৭, মিরাজ ৫, অপু ১; হায়দার ৩/৫১, রুবেল ৩/২১, সানজামুল ১/২৯, সাব্বির ০/১৩)

ফল: বিসিবি লাল ১৩৭ রানে জয়ী। 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women retain SAFF glory

Bangladesh retained the title of SAFF Women's Championship with a 2-1 win against Nepal in an entertaining final at the Dasharath Stadium in Kathmandu today. 

32m ago