মাশরাফি আস্থা না রাখলে ‘পারতেন না’ মিঠুন

ফিকে হতে থাকা জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন আবার জাগে এবার বিপিএলের পারফরম্যান্সে। সঙ্গে রংপুর রাইডার্সে পেয়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজার ভরসার হাত। তাতেই ফের পেলেন লাল-সবুজ জার্সি।
Mohammad Mithun
মোহাম্মদ মিঠুন আলি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০১৪ সালে ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। শুরুটা একদম ভালো হয়নি। ছিটকে যান দল থেকে। পরে খেলেছেন ১২টি টি-টোয়েন্টি। সেখানেও বলার মতো মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি। ফিকে হতে থাকা জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন আবার জাগে এবার বিপিএলের পারফরম্যান্সে। সঙ্গে রংপুর রাইডার্সে পেয়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজার ভরসার হাত। তাতেই ফের পেলেন লাল-সবুজ জার্সি।

বিপিএলে রান সংগ্রহে দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই নম্বরে আছে মিঠুনের নাম। ১৫ ম্যাচের ১৩ ইনিংস খেলে ৩২৯ রান করেছেন তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের মিডল অর্ডারে ছিলেন ভরসার নাম। তার নিজের ভরসা অবশ্য অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমি ভাগ্যবান, ওখানে আমার দলের অধিনায়ক বাংলাদেশ দলেরও অধিনায়ক। উনি আমার ওপরে আস্থা রেখেছেন বলেই আজকে আমি এখানে আসতে পেরেছি। নইলে পারতাম না।’

বিপিএল ছাড়াও ঘরোয়া অন্য লিগেও হেসেছে মিঠুনের ব্যাট। তবে বাড়তি এক্সপোজার থাকায় বিপিএলে ভালো করাকেই দেখছেন টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে, ‘আমার তো মনে হয় বিপিএলের পারফরম্যান্স পুরোটাই হেল্প করেছে। ওখানে আমার অবদান ছিল, আমার টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ’

‘বিপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিকের অনেক মিল আছে। আমি যেটা ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমাদের ঘরোয়াতে ওভাবে বিদেশী থাকে না, ক্যামেরা থাকে না, দর্শক থাকে না। বিপিএলে দেখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেই আবহ পুরোটাই পাওয়া যায়।’

বিপিএলে মিঠুন দলে পেয়েছিলেন ক্রিস গেইল, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, রবি বোপারাদের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের। এদের ভিড়েও টুর্নামেন্টের মাঝপথে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দলের মূল ব্যাটসম্যান। এই প্রাপ্তির রোমাঞ্চে অনুপ্রাণিত তিনি, ‘আমার দল যখন সংগ্রাম করছিল, এমন একটা সময় এসেছিল আমি দলের মূল ব্যাটসম্যান। আমাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল,তুমি ভালো খেললে ম্যাচ জিতবে, তা ছাড়া জিতবে না। ’

দুই ওয়ানডে খেলে সর্বোচ্চ রান ২৬। ১২ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একবারই পেরুতে পেরেছিলেন ৪০ এর কোটা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারায় খেদ রয়ে গেছে মিঠুনের। তাগিদ আছে নিজেকে প্রমাণের, ‘আমি এখনও আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারিনি। প্রথম লক্ষ্য,সবার স্বপ্ন বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলার,কিছু করার। আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা থাকবে দেশের হয়ে কিছু করার। ’

Comments