পেসারদের দাপটের টেস্টে ফিল্যান্ডারে কুপোকাত কোহলিরা
দুদলের ৪০ উইকেটের ৩৭টিই পড়ল পেসারদের বলে। কোন দলই করতে পারেনি তিনশ রান, আসেনি কোন সেঞ্চুরি। কেউপটাউন টেস্টে ৭২ রানে ভারতকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পেসের ঝাঁজ দেখিয়ে আসলে জয়ী দুদলের পেসাররা। শেষ ইনিংসে কাজের কাজটা করে ম্যাচের হিরো ভারনন ফিল্যান্ডার।
আগের দিন বৃষ্টিতে খেলা হয়নি এক বলও। স্বাগতিকদের ২৮৬ রানের পর ভারতের প্রথম ইনিংস থেমেছিল ২০৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের মাত্র ১৩০ রানে অলআউট করে দেন ভারতীয় পেসাররা। ২০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে আরও নাজেহাল অবস্থা ভারতের। ৪২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বিরাট কোহলিদের মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে দেন এই পেসার।
সোমবার টেস্টের চতুর্থ দিনে উইকেট পড়েছে ১৮টি। সবগুলোই নিয়েছেন দুদলের পেসাররা। শুরুতে দাপট ভুবনেশ্বর, বুমরাহ, শামিদের। সম্মিলিত প্রয়াসে প্রোটিয়া ইনিংসে ছোবল দেন তারা। মার্কাম,ভিলিয়ার্স ও এলগারদের মাঝারি প্রতিরোধ ভেস্তে যায় স্যুয়িংয়ের স্রোতে।
২০৮ রানের লক্ষ্যে ৩০ রান পর্যন্ত বিনা উইকেটে গিয়েছিল ভারত। চোটের কারণে ডেল স্টেইন মাঠে না থাকায় হারের শঙ্কায় ছিল স্বাগতিকরাই। এরপরই উইকেট পতনের মিছিল। শুরুটা করেন মরনে মরকেল। খানিকপর দৃশ্যপটে আবির্ভাব মূল নায়ক ফিল্যান্ডারের। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তিনি স্যুয়িং দিয়ে কাবু করেন কোহলি, রোহিতদের। ৮৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতকে মিটিমিটি আশা দেখিয়েছিলেন রবীচন্দ্র অশ্বিন। তিনি আউট হওয়ার পর পরই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮৬
ভারত ১ম ইনিংস: ২০৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৬৫/২) ৪১.২ ওভারে ১৩০ (মারক্রাম ৩৪, এলগার ২৫, রাবাদা ৫, আমলা ৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৫, দু প্লেসি ০, ডি কক ৮, ফিল্যান্ডার ০, মহরাজ ১৫, মর্কেল ২, স্টেইন ০*; ভুবনেশ্বর ২/৩৩, বুমরাহ ৩/৩৯, শামি ৩/২৮, পান্ডিয়া ২/২৭, অশ্বিন ০/৩)
ভারত ২য় ইনিংস: ৪২.৪ ওভারে ১৩৫ (বিজয় ১৩, ধাওয়ান ১৬, পুজারা ৪, কোহলি ২৮, রোহিত ১০, ঋদ্ধিমান ৮, পান্ডিয়া ১, অশ্বিন ৩৭, ভুবনেশ্বর ১৩*, শামি ৪, বুমরাহ ০; ফিল্যান্ডার ৬/৪২, মর্কেল ২/৩৯, রাবাদা ২/৪১, মহারাজ ০/১২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভারনন ফিল্যান্ডার
Comments