আন্দোলনকারীদের খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেন
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দিকে আঙ্গুল তুলে হুমকি দিচ্ছেন বেসরকারি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন।

বেসরকারি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেন। রবিবার সকালে মেডিকেল কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের তিনি এই হুমকি দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেন এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান। বছর বছর বেতন-ফি বৃদ্ধি বন্ধসহ আট দফা দাবিতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয় পড়েছে। এতে তাকে হুমকির পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির সময় মকবুলের পাশেই নির্বিকার অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ।

আন্দোলনকারীদের দিকে আঙ্গুল তুলে মকবুল বলেন, “…আমার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সরকার।” এসময় তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের দেখিয়ে বলেন তারা খুলি উড়িয়ে দিবে।

সম্প্রতি পাবনা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনের উদাহরণ টেনে মকবুল বলেন, প্রিন্সিপালের কিছুই হবে না। তিনিও কলেজ বন্ধ করে দেবেন। আন্দোলনকারীদের বহিষ্কার করারও হুমকি দেন তিনি।

হুমকির পরও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন দাবি আদায়ে অনড় থাকলে মকবুল ছাত্রীদের দিকে তেড়ে যান। সেখানে তিনি বিদেশি ও এক নারী শিক্ষার্থীর নাম ধরে হুমকি দিতে থাকেন। তিনি বলেন, “এখান থেকে হোস্টেলে যাবে না? এখানেই থাকতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, এমবিবিএস ইন্টার্নদের জন্য ন্যূনতম ১৫ হাজার ও বিডিএস ইন্টার্নদের জন্য ১০ হাজার টাকা ভাতা, এক দিনের অনুপস্থিতির জন্য সর্বোচ্চ ২০টাকা জরিমানা, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও বাবা-মায়ের চিকিৎসা খরচে ৬০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা, প্রতি মাসের ১০ তারিখ ফি দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ ও ফাইনাল পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৭৮ হাজার টাকা ফি আদায় বন্ধ করা।

বেলা পৌনে দুইটার দিকে দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

1h ago