নারায়ণগঞ্জে পিস্তল হাতে নিয়াজুল
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় মঙ্গলবার বিকেলে হকার ইস্যুতে সংঘর্ষের সময়ে নিয়াজুল নামের যুবলীগের এক নেতার হাতে পিস্তল দেখা গেছে। তবে সেখান থেকে গুলি হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পিস্তল দেখানোর কারণে তাকে মারধরেরও শিকার হতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে নগর ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে অবস্থান নেন মেয়র আইভী। ওখান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে আইভী মিছিল নিয়ে ফুটপাতের উপর দিয়ে চাষাঢ়ার দিকে যান। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আইভীর নেতৃত্বে মিছিল চাষাঢ়া সায়াম প্লাজার সামনে আসে। সেখানে কয়েকজন হকারকে ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এছাড়া আইভীর মিছিলটি পুলিশ আটকে দেয়। ওই সময় একজন হকারকে মারধর করা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন চাষাঢ়া এলাকার নিয়াজুল পিস্তল হাতে আইভীর মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় তাকে মারধর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র বলেছেন, হামলাকারী নিয়াজুল নগর যুবলীগের নেতা ও শামীম ওসমানের অনুসারী। শামীম ওসমানের নির্দেশে হামলা হয়েছে।
সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে শামীম ওসমান বলেন, ‘নিয়াজুল আমার পরিচিত। তিনি বিশাল বড় মার্কেটের মালিক। সে সুইটের ভাই যাকে বিএনপির সময় ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। এটা কি তার দোষ? তার হাতে পিস্তল দেখা গেলেও পরীক্ষা করা হোক এই পিস্তল থেকে গুলি করা হয়েছে কি না।’
শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলামের ছেলে নিয়াজুল ইসলাম। চার ভাই ও তিনের বোনের মধ্যে নিয়াজুল দ্বিতীয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ২৪ জুলাই সাবেক পৌর কমিশনার ও বিএনপি নেতা তাঁরা মিয়া তারু সরদারের ছেলে কামাল সরদার হত্যা মামলার আসামী তিনি। পরে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে ওই মামলা প্রত্যাহার হয়। তিনি নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চলতেন।
নিয়াজুলের ভাই যুবলীগের ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে সুইট বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে র্যাবের সাথে ক্রসফায়ারে নিহত হন। ওই সরকারের আমলেই র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদলের নেতা মমিন উল্লা ওরফে ডেভিড নিয়াজুল ইসলামের আত্মীয়।
Comments