এনামুলের কাছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট চান মাশরাফি
প্রায় তিন বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়ের কাছে আগ্রাসী ব্যাটিং প্রত্যাশা করছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের চাহিদা মেটাতে ইতিবাচক খেলে ব্যর্থ হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন তিনি।
দল থেকে বাদ পড়ার পর ফেরার প্রশ্নে এনামুলের বড় বদনাম ছিল স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা, দলের চাহিদা পূরণের মতো আগ্রাসী হতে না পারা। ওয়ানডেতে ৭০ স্ট্রাইক রেটের এনামুলকে ছাপিয়ে সেসময় প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে রান করে জায়গা পাকা করে ফেলেন সৌম্য সরকার। খারাপ ফর্মের কারণে তিনি এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে নেই। তবে সাহসী ক্রিকেট খেলায় দল থেকে বাদ পড়ার পরও বাহবা পেয়েছেন মাশরাফির।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরে এনামুলের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। ১৩ বলে ১৯ রান করে আউট হন। তবে ছোট্ট ইনিংসেও দিয়েছেন নিজেকে বদলে ফেলার আভাস। মুখোমুখি প্রথম চার বলের তিনটাকেই পাঠিয়েছিলেন বাউন্ডারিতে। এই ইতিবাচক মানসিকতায় অধিনায়কের পিঠ চাপড়ানো পাচ্ছেন তিনি, ‘প্রায় তিন বছর পর বিজয় দলে এসে যেভাবে খেলেছে, একদম আমরা এটাই চাই যে সে ভয়হীন ক্রিকেট খেলুক।’
ছোট লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো পেলেও ইনিংস টানতে পারেননি। অধিনায়কের আশা ইতিবাচক ক্রিকেটে সব চাপ সরাবেন তিনি। দলের চাহিদা মেটানোর মানসিকতা দেখিয়ে না পারলেও পাবেন সমর্থন, ‘অবশ্যই ওর জায়গা থেকে ওর রানটাকে বড় করার সুযোগ ছিল। কারণ লক্ষ্যটা এতো বড় ছিলোনা। আমাদের সেই চাপ ছিলোনা। তারপরও ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে আমরা শতভাগ তাকে ব্যাকআপ করবো। এটা শো করে যে সে অনেক পজিটিভ। তার মাইন্ড সেটআপ আমরা দল থেকে যেটা চাই সেভাবেই সে খেলেছে। ’
২০১৫ সালে ঘরের মাঠে টানা তিন সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ দলের মোটো ছিল ভয়ডরহীন ক্রিকেট। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ যাইহোক ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়ে মোমেন্টাম তৈরি করে দিতেন সৌম্য, সাব্বিররা। নতুন বছরে সাফল্য পেতে সে পথেই হাঁটতে চাইছে মাশরাফির দল।
Comments