থিসিরা পেরেরার নৈপুণ্যে টিকে রইল শ্রীলঙ্কা

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল ফাঁকা। নিরুত্তাপ ছিল মাঠের খেলাও। ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের করা ১৯৮ রান শ্রীলঙ্কা পেরিয়েছে ৫ ওভার আগে । হাতে ছিল ৫ উইকেট ।
Tshira perera
উইকেট পেয়ে থিসিরা পেরেরার উল্লাস। বোলিংয়ে চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন থিসিরা পেরেরা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

ব্যাট করার জন্য আদর্শ পিচে মোটে ১৯৮ রান করে জেতা খুব শক্ত। শুরুতে জিম্বাবুয়ের বোলাররাও ছিলেন সাদামাটা। শেষ দিকে খানিকটা জ্বলে উঠেছিলেন ব্লেসিং মুজারব্বানি। তবে বোলিংয়ের হিরো থিসিরা পেরেরা আর অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল নিরাপদেই তীরে তরি ভেড়ান শ্রীলঙ্কার।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল ফাঁকা। নিরুত্তাপ ছিল মাঠের খেলাও। ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের করা ১৯৮ রান শ্রীলঙ্কা পেরিয়েছে ৫ ওভার আগে । হাতে ছিল ৫ উইকেট । এই জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাই টিকে রইল শ্রীলঙ্কা  

লঙ্কানদের ম্যাচ জেতার কাজটা সেরে রেখেছিলেন বোলাররাই। একদম নাগালের মধ্যে পাওয়া লক্ষ্য ব্যাটসম্যানরা পেরিয়েছেন অনায়াসে।

বল হাতে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এদিনও শ্রীলঙ্কার হিরো অলরাউন্ডার থিসিরা পেরেরা।

শ্রীলঙ্কা
১৯৯ রানের লক্ষ্যে বড় ইনিংস পাননি উপুল থারাঙ্গা। থিতু হয়েই বোল্ড হয়ে যান চাতারার বলে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে ঠিক পথে রাখেন দুই কুশল-পেরেরা আর মেন্ডিস। ৭০ রানের জুটির পর দুজনে ফিরেছেন প্রায় এক সঙ্গেই। অর্ধশতকের এক রান আগে মুজারব্বানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান পেরেরা। খানিক পর মেন্ডিসের স্টাম্প উড়িয়ে দেন মুজারব্বানি।

এক ওভার পর আবার বাজিমাত মুজারব্বানির। তার অনেক বাইরের বল চালাতে গিয়ে নিরোশান ডিকভেলা ক্যাচ দেন বদলি উইকেট রক্ষকের হাতে। তবে পরে আর বিপদ বাড়তে দেননি অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ও থিসিরা পেরেরা। ১ চার আর ৩ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৯ রান করেন থিসিরা। ৭১ বলে ৩৮ রানে তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে কাজ সেরে আসেন চান্দিমাল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার এনে দিয়েছিলেন ভালো শুরু। কিন্তু মিডল অর্ডারে ব্র্যান্ডন টেইলর ছাড়া বাকি সবার ব্যর্থতায় তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯৮ রানে ।

৪৪ রানে মাসাকাদজার বিদায়ের পরই মড়ক লাগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে। এই ম্যাচেও রান পাননি ওয়ানডাউনে নামা ক্রেইগ আরভিন। আউট হয়েছেন ২ রান করে। আগের ম্যাচের হিরো সিকান্দার রাজার ব্যাটও হাসেনি। জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের মূল হন্তারক ছিলেন থিসেরা পেরেরা।

৭৩ রানে চার উইকেট খুয়ানো জিম্বায়ের রানটা একটু ভদ্রস্থ হতে পেরেছে টেইলরের দৃঢ়তায়। ৮০ বলে ৫৮ রান করে পেরেরার বলেই ছক্কা পেটাতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। শেষ দিকে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার ৩৪ করলে দুশোর কাছাকাছি যেতে পারে জিম্বাবুয়ে। তবে ওই রান যে লড়াইয়ের জন্যে যথেষ্ট নয় পরে বুঝি দিয়েছেন চান্দিমাল-পেরেরারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১৯৮/১০  (৪৪)  (টেইলর ৫৮, ক্রেমার ৩৪ ; পেরেরা ৪/৩৩,   লাকমাল ২/৫৭)

শ্রীলঙ্কা:   ২০২/৫ (৪৪.৫)  ( কুশল পেরেরা ৪৯, পেরেরা ৩৯, চান্দিমাল ৩৮ ; মুজারব্বানি ৩/৫২, জার্ভিস ১/৩৪)

ফল: শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: থিসিরা পেরেরা। 

 

 

Comments