মৈত্রী এক্সপ্রেসে শ্লীলতাহানির শিকার বাংলাদেশি নারী যাত্রী

কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেসে একজন বাংলাদেশি নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Maitree Express
মৈত্রী এক্সপ্রেস। ফাইল ছবি

কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেসে একজন বাংলাদেশি নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল সোয়া ৭টায় কলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কিছু সময় পর ওই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে জানান ওই যাত্রীর স্বামী। অভিযোগটি জমা পড়েছে ভারতের সীমান্তবর্তী গেদে স্টেশনের জিআরপি শাখায়।

সোমবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে ভারতের পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র দ্য ডেইলি স্টারের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি  বলেন, ভারতীয় রেল পুলিশ জিআরপি এই ঘটনার তদন্ত করবে। এ ছাড়া পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

তবে দমদম ও কলকাতা স্টেশনের জিআরপি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও কর্মকর্তা সরকারিভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কলকাতা ও দমদম স্টেশনের জিআরপির দায়িত্বশীল সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ায় কোন জিআরপি শাখার পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত করবে; সেটা নিয়েই এখন দফায় দফায় বৈঠক চলছে কলকাতা টার্মিনালে।

দমদম জিআরপির সূত্র বলছে, ওই নারী যাত্রী ট্রেন ছাড়ার কিছু সময় পর ট্রেনের বাথরুমে যাচ্ছিলেন। তখনই তার সঙ্গে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন বিএসএফ সদস্য শ্লীলতাহানি করেন। এই ঘটনাটি দমদম জংশন থেকে ব্যারাকপুর জংশনের মধ্যবর্তী কোনো জায়গায় ঘটেছে বলেও কলকাতার একটি অনলাইন পোর্টাল দাবি করেছে।

এদিকে অভিযুক্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযুক্তকে সাসপেন্ড কিংবা আটক করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে জিআরপি সূত্র।

প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী ট্রেনে ভারতীয় অংশে নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করত জিআরপি এবং আরপিএফ। তবে নভেম্বর থেকে এই রুটের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago