তবু এতেও সন্তুষ্ট নন মাহমুদ!
ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে কোন দলই পাত্তা পাচ্ছে না বাংলাদেশের কাছে। তিন ম্যাচের সবগুলোই বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে বড় ব্যবধানে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন তবু এতে সন্তুষ্ট না। তিনি খুঁজে পাচ্ছেন দলের ঘাটতি।
আগের দিন ২১৬ রান করেও টাইগাররা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ৯১ রানে। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের আগে শেষ লড়াই। মাঝের এই দিনে তাই দলের অনুশীলন রাখা হয়নি। বিশ্রামের দিনে টিম হোটেলে কথা বলেছেন মাহমুদ। কিছুটা কি নির্ভার বাংলাদেশ দল?
‘আমি মনে করি নির্ভার থাকার কোনো সুযোগই নেই। এরপর আমরা আর বিশ্রাম পাব না, কাল খেললাম আগামীকাল খেলব, আবার ২৭ তারিখ ফাইনাল। সুতরাং আজকে একটা বিরতি দরকার ছিল দলের।’
প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে মাশরাফিরা তুলে নেয় নিজেদের ইতিহাসের সবচেয় বড় জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৬ রান করে ধুঁকলেও বল হাতে সব পুষিয়ে নিয়েছে। তবু বড় দল হওয়ার ঘাটতি পাচ্ছেন দল পরিচালক,
‘আমি এখনও সন্তুষ্ট না। বড় দল হতে গেলে আরও অনেক গুনাবলী লাগবে, সেটা আমরা নিজেরাও জানি। আমরা এটা নিয়েও আলোচনাও করি। সামনে যখন অনেক পথ খোলা আছে সেখানে আমরা আরও একাগ্র হতে চাই, আরও ভাল করতে চাই।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৭ থেকে ১৭০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার থেকে আসেনি কোন প্রতিরোধ। এবার না পারলেও বিশ্বাস হারাচ্ছেন না মাহমুদ,
‘গতকালকে একটা সুযোগ ছিল মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রমাণ করার। সেটা হয়নি। বড় দলগুলো সেটাই করে, টপঅডার ফেল করলে পরের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব থাকে। যাই হোক আমি এখনও বিশ্বাস করি এই দলে যারাই আছে অনেক ভাল প্লেয়ার…গতকাল হয়নি আগামীকাল হবে।’
তবে ব্যাটসম্যানদের ঘাটতি পরে পুষিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। আটোসাটো বোলিং করেছেন, নিয়েছেন উইকেট। তাতে কুলিয়ে উঠতে পারেনি গ্রায়েম ক্রেমারের দল।
‘আমি মনে করি এটা দারুণ। কালকে ২১৬ রান ডিফেন্ড করা, আগে কথা হতো যে বাংলাদেশ অল্প রান ডিফেন্ড করতে পারে না। কালকে ২১৬ দারুণভাবে ডিফেন্ড করে আমরা জিতলাম। বোলাররা পারফর্ম করছে, যখন দেখি ভালো লাগে।’
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। শনিবার ফাইনালে বাংলাদেশে প্রতিপক্ষ কে হবে জানা যাবে এই ম্যাচ থেকেই।
Comments