সুপ্রিয়া দেবীর বাড়িতে মমতা, হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যানুষ্ঠান
সুপ্রিয়া দেবীকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষ বিদায় দেওয়া হবে। আজ (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ রাখা হবে কলকাতার রবীন্দ্রসদনে। সেখানে ভক্তরা তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। সেখান থেকেই রাষ্ট্রীয় সম্মানে পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার কেওড়াতলা মহাশশ্মানে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেখানেই তাঁকে সম্মান জানানো হবে।
সুপ্রিয়া দেবীর বাড়িতে পৌঁছে সাংবাদিকদের এই কথাগুলোই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মমতা আরো বলেন, সুপ্রিয়া দেবী বাংলা চলচ্চিত্রের ‘স্বর্ণশিল্পী’ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে উত্তম যুগের সমাপ্তি হলো। এই ক্ষতি আর পূরণ হবে না।
কলকাতার রেড রোডের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বালিগঞ্জের সার্কুলার রোডের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের যুব কল্যাণ ও পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এর আগে সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানান বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৬০ বছরের এক বন্ধুকে হারালাম। স্মৃতিগুলো বড্ড নাড়া দিচ্ছে আমাকে।” জড়ানো কণ্ঠে এর বেশি কিছু বলতে পারেননি এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, “তিনি আমাদেরকে মায়ের মতো স্নেহ করতেন, খোঁজখবর রাখতেন। বুঝতে পারছি ক্ষতিটা অনেক বড় হয়ে গেলো।” অভিনেতা পরমব্রত মনে করেন, তাঁর অভিভাবক বিয়োগ হয়েছে আজ।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও বাকরুদ্ধ। টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছিলেন না বাংলা চলচ্চিত্রের এই দুই উজ্জ্বল তারকা। সন্ধ্যা রায় বললেন, “কিছু মৃত্যু আছে যা সব খালি করে দিয়ে যায়। কিছু শোক আছে যা শুধুই বাকি জীবনে কষ্ট দেয়, এটি এমন একটি শোক-মৃত্যু।”
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বললেন, “ভাষা নেই এই শোক প্রকাশ করার। যেখানেই থাকুন, তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
Comments