ইকোনমিস্টের গণতন্ত্রের সূচকে নিচে নামলো বাংলাদেশ

economist democracy index

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর গণতন্ত্রের সূচকে বছর খানেক আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। সংস্থাটির দৃষ্টিতে এক ধাক্কায় আট ধাপ নিচে নেমেছে দেশটির গণতন্ত্রের অবস্থান।

২০১৬ সালে ইআইইউ-এর গণতন্ত্রের সূচকে ১০ এর মধ্যে ৫.৭৩ নম্বর পেয়ে বিশ্বে ৮৪তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ২০১৭ সালে ৫.৪৩ নম্বর পেয়ে এসেছে ৯২তম অবস্থানে।

আজ (৩১ জানুয়ারি) লন্ডন-ভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গণতন্ত্রের সূচকে এই তথ্য দেওয়া হয়। আগের বছরের মতো এবারও সূচকে বাংলাদেশকে “হাইব্রিড রেজিম” বিভাগে রাখা হয়েছে।

২০১৭ সালের বৈশ্বিক সূচকে আবারো শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নরওয়ে। আর সূচকে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া।

গড় হিসাবে এশিয়ার দেশগুলো ২০১৭ সালে পেয়েছে ৫.৬৩ নম্বর। যদিও বিশ্বের গড় হিসাব ২০১৬ সালের ৫.৫২ থেকে কমে নেমেছে ৫.৪৮ এ।

ইআইইউ হচ্ছে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ। গত ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই গণতন্ত্রের সূচকে দেখা যায় ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসেছে। কেননা, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও সংবাদমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূচক প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।

‘২০১৭ সালে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ বিভাগে দেখা যায় মাত্র ৩০টি দেশের জনগণ সংবাদমাধ্যমের “পূর্ণ স্বাধীনতা” ভোগ করেন। তারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১১ ভাগ। অন্যদিকে, ৪৭টি দেশের জনগণ, যারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৫.৯ ভাগ, “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা” ভোগ করতে পারেন না।

Comments

The Daily Star  | English

NCP stages protest at EC office, demands reconstitution of commission

The protest, organised by the party's Dhaka Metropolitan Committee, commenced at 12:00pm

59m ago