ডাবল সেঞ্চুরির আগে ফিরেছেন মেন্ডিস, তবু দাপট লঙ্কানদের
মনে হচ্ছিল ডাবল সেঞ্চুরিটা এবার পেয়েই যাবেন কুশল মেন্ডিস। গলে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ১৯৪ রান আউট হয়ে হারানো সুযোগ ঘোচানোর মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। তবে এবারও পারলেন শেষ পর্যন্ত। ফের ১৯০ এর ঘরে কাটা পড়লেন তিনি। ডাবল সেঞ্চুরির ৪ রান আগে তাকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
চা বিরতির খানিক আগে তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই কাল ডেকে আনেন কুশল। তাইজুলের বলে বেরিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অনে। পেছনে দৌঁড়ে নিরাপদে হাতে জমান মুশফিকুর রহিম। দুই সেঞ্চুরিরান আউট হলেও ম্যাচের লাগাম লঙ্কানদের হাতেই। ৩ উইকেটে ৪১৬ রান তুলে চা বিরতিতে যায় তারা।
এর আগে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা স্বাগতিকদ বোলারদের হতাশ করে পার করে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কুশল মেন্ডিস। দুজনে মিলে গড়ে তুলে তিনশতাধিক রানের জুটি। আগের দিনে সেঞ্চুরি তোলা ধনঞ্জয় এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। লাঞ্চের পর তাকে আউট করেন পুরো ইনিংসে দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭৩ রান করা ধনঞ্জয়ার টপ এজ হয়ে আকাশে উঠা ক্যাচ সহজেই জমান উইকেটকিপার লিটন দাস।
ব্রেক থ্রো আসার পরও তেতে উঠেননি অন্য বোলাররা। উইকেটে প্রায়ই মিলছিল টার্ন। তবে সানজামুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা জায়গায় বল ফেলতে পারলেন কম। তৃতীয় উইকেটেও তাই শ্রীলঙ্কা অনায়াসে পেয়ে গেছে আরেকটি শতরানের জুটি। রোশন সিলভার সঙ্গে ১০৭ রানের জুটির পর আউট হন কুশল মেন্ডিস। রোশন অবশ্য ফিরতে পারতেন ১ রানেই। তাকে স্টাম্পিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেন লিটন দাস।
প্রায় ডাবল সেঞ্চুরি করা কুশলও নিশ্চিত জীবন পেয়েছেন দুবার। তবে তার দুটোই আগের দিনে। ৪ ও ৫৭ রানে কুশলের ক্যাচ ছেড়েছিলেন মিরাজ আর ইমরুল। ক্যাচ ফসকানোর মাশুল বেশ ভালোভাবেই দিল বাংলাদেশ।
Comments