বোলিং -ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা খালেদ মাহমুদের

সারাদিনে বোলারদের দিয়ে কোন পরিকল্পনাই কাজে লাগাতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাটসম্যানদের এনে দেওয়া ভালো সংগ্রহের মান রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা। বোলিং হয়েছে সাদামাটা, ফিল্ডারদের হাত গলে বেরিয়েছে ক্যাচ। তাই চট্টগ্রাম টেস্টের তিন দিন শেষে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের দাপটে কাবু বাংলাদেশ। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ এমন বেহাল দশায় হতাশা লুকোতে পারেননি।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটেই ৫০৪ রান করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে লঙ্কানরা চোখ রাঙাচ্ছে বড় লিডের। খালেদ মাহমুদ মনে করছেন পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেননি তার বোলাররা,

‘কিছু সময়ে আমরা অবশ্যই ভালো বোলিং করেছি। তবে টেস্ট ম্যাচে  জুটি বেধে বোলিং করা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় না কিছু সময় আমরা ভালো বোলিং করেছি। জুটি বেঁধে বোলিং ভালো ছিল না। পরিকল্পনা ছিল একদিক থেকে আমরা আক্রমণ করব, আরেকদিক থেকে রক্ষণাত্মক থাকব, সেটা হয়নি। আমরা খুব ভালো করিনি আসলে। খুব একটা সন্তুষ্ট নই আমি।’

টেস্ট শুরুর আগে দুদলের অধিনায়কই উইকেটের হাবভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন অতিরিক্ত টার্নের আভাস। তৃতীয় দিনে মাঝেমধ্যে বেশ কিছু টার্ন থাকলেও উইকেট ছিল ব্যাট করার জন্য আদর্শ। তবুও নিজেদের বোলিং ঘাটতির হাল ঢাকতে চান না মাহমুদ,  ‘উইকেট ব্যাটিংয়ে জন্য খুব ভালো। তার পরও আমরা আরও ভালো করতে পারতাম বোলিং।’

বেশিরভাগ সময় পরিকল্পনাহীন বোলিংয়ের মাঝেও ছিটেফোঁটা যেসব সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাও কাজে লাগাতে পারেননি ফিল্ডাররা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা কুশল মেন্ডিস জীবন পেয়েছেন একাধিকবার। ৪ রান মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে তার ক্যাচ ফেলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৭ রানে গিয়ে আবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেন্ডিস। এবার বোলার মিরাজ, আর স্লিপে ক্যাচ ছাড়ার ভিলেন ইমরুল কায়েস। দিনশেষে এসব নিয়ে কেবল আক্ষেপ মাহমুদের,

‘টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ কমই আসে। আমরা যদি সুযোগগুলো নিতে পারতাম, তfহলে হয়ত ভালো হতো। রান আউটের সুযোগ মিস করেছি আমরা। ফিল্ডিং আরো ভালো হতে পারত। ক্যাচগুলো নিতে পারতাম।’

Comments

The Daily Star  | English

Public gatherings banned in key Dhaka areas from tomorrow: ISPR

Restrictions imposed to maintain order near Chief Adviser’s Office, military zones

11m ago