রান দেওয়ায় টাইগার বোলারদের সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি!
বোলিংয়ে ঝাঁজ নেই, নেই হরহামেশা উইকেটের দেখা। ওদিকে রান বাড়ছে তরতর করে। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের নিয়মিত চার বোলারই তিন অঙ্কের সমান রান দিয়ে পড়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
রান দেওয়ায় চার নিয়মিত বোলারই সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। তাইজুল ইসলামের হাত থেকে তো খসেছে দুশোর বেশি রান। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের চা-বিরতির পর ৯ উইকেটে ৭১৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। প্রায় দুইশ ওভার বল করেও অলআউট করা যায়নি শ্রীলঙ্কানদের। লিড নিয়েছে ঠিক দুইশ রানের।
চতুর্থ দিনেও একই মেজাজে ব্যাট করার পণ নিয়ে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। সে পরিকল্পনায় সফলও তারা। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ফেলতে পেরেছে একটাই উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে আরও ৩ উইকেট হারালেও ৭০৫ রানে পৌঁছে লিড বাড়িয়ে নিয়েছে ১৯২ পর্যন্ত।
প্রথম সেশনে ১০৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন রোশন সিলভা। ওই সাফল্য নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালও পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। ৮৭ রানে তাকে বোল্ড করে থামান তাইজুল।
নিরোশান ডিকভেলা নেমে খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬১ বলে ৬১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মিরাজের বলে।
বাংলাদেশের সফল বোলার তাইজুল ইসলাম। ৬৭ ওভারের বেশি বল করে ২১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৪৯ ওভার বল করে ১৭৩ রান খরচায় মিরাজের পকেটে গেছে ৩ উইকেট। অভিষিক্ত সানজামুল ইসলাম ছিলেন বিব্রতকর রেকর্ডের কাছে। অভিষেকে দেড়শ রানের বেশি দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার দ্বিতীয় ব্যক্তি হতে হতে বেঁচে গেছেন। সানজামুলকে বিব্রতকর পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলরুয়ান পেরেরা ফেরেন ৩২ রান করে।
তবু মোটেও ভদ্রস্থ নয় সানজামুলের বোলিং ফিগার। ৪৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫৩ রান দিয়ে একটাই উইকেট তার।
একমাত্র পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থাও সুবিধের নয়। তার করা ২৫ ওভার সামলে ১১৩ রান তুলেছে লঙ্কানরা। মোস্তাফিজের ঝুলিতে কেবল ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট।
Comments