একটুর জন্য হলো না লিটনের
প্রথম ইনিংসে প্রথম বলে বল ছেড়ে বোল্ড হয়েছিলেন। নিন্দে শুনতে হয়েছিল অনেক। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন দাসের সামনে সুযোগ এসেছিল সব পুষিয়ে দেওয়ার। সে পথেই এগুচ্ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পাওয়া হলো না তার। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে যেতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৯৪ রান করে।
আগের দিনের একদম শেষ দিকে আউট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এদিন তাই শুরু থেকেই মুমিনুল হকের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন লিটন দাস। ক্রিজে এসে প্রথমে ছিলেন অস্থির, নড়বড়ে। সময়ের সঙ্গে হয়েছেন থিতু। খেলেছেন চোখ ধাঁধানো শট। মুমিনুলের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটিতে দলকে নিরাপদে নিয়ে যেতেও রেখেছেন ভূমিকা। লাঞ্চের পরও দেখাচ্ছিলেন দৃঢ়তা, সেঞ্চুরি করেই মুমিনুল ফিরলেও লিটন ছিলেন অবিচল।
তবে সেঞ্চুরির একদম কাছে গিয়েই গড়বড় করে ফেললেন তিনি। ৯৪ রানে গিয়ে হয়ত ভাবলেন ছক্কা মেরেই তিন অঙ্কে যেতেই। ওটাই কাল হলো তার। রঙ্গনা হেরাথের বলে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে। পেছনে দৌঁড়ে দিলরুয়ান পেরেরা হাতে জমিয়েছেন দারুণ ক্যাচ। ১৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে লিটন মেরেছেন ১১ চার। ক্যারিয়ারে লিটনের এটি তৃতীয় ফিফটি। এর আগে তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংসই ছিল তার সর্বোচ্চ।
লিটন আউট হলেও ম্যাচে অনেকটাই বিপদমুক্ত বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ২৮১ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে মাহমুদউল্লাহর দল। শেষ সেশনের আগে লিড হয়ে গেছে ৮১ রানের।
Comments