কিডনি দিতে এসে ১০ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট, সীমান্তে গ্রেফতার
কিডনি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিডনি গ্রহীতার পরিবারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে আটক হলেন একজন বাংলাদেশি যুবক। ধৃত যুবকের নাম আইনুল হক। তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
জানা গেছে, নওগাঁর বাসিন্দা মহম্মদ লুৎফর হাসান মণ্ডল তার ছেলে তারিক হোসেন এবং কিডনি দাতা আইনুল হককে নিয়ে ১৯ জানুয়ারি ভারতে প্রবেশ করে। পরদিন কলকাতার বাইপাস এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। বাইপাসের একটি নামী বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রেই তারিকের কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা চলছিল।
কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি লুৎফর নমাজ পড়তে গেলে কিডনি দাতা আইনুল হক তার কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ও দুটো মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরপরই পূর্ব যাদবপুর থানায় টাকা ছিনতাই করে পালানোর অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রবিবার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে আইনুল। বনগাঁ থানার সহযোগিতা নিয়ে পেট্রাপোলে পুলিশ আইনুল এবং তার স্থানীয় সাহায্যকারী দালাল সরজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করে।
তবে আইনুলের দাবি, ‘বাংলাদেশে তার সাথে যা কথা হয়েছিল সেই মতো কাজ হচ্ছিল না। তাই সে বাংলাদেশে পালাচ্ছিল।’
তবে লুৎফর হাসান সাংবাদিকদের জানান, নির্দিষ্ট কোনো অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। তবে কিডনিদাতা ও তার পরিবারকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে- এমন কথার ভিত্তিতেই আইনুল কলকাতায় কিডনি দিতে এসেছিলেন।
পেট্রাপোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের কাছ থেকে প্রায় নয় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
Comments