ব্যাটিং ধসের ব্যাখ্যা নেই মাহমুদউল্লাহর কাছে

Sabbir Rahman
দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৫ বল খেলতে পেরেছেন সাব্বির রহমান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ইনিংসে ১১০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৩। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে পড়েছিল শেষ ৫ উইকেট। পরেরটিতে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ২৩ রানে। উইকেট যেমনই হোক এমন হতশ্রী দশার সাফাই হয় না। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও খুঁজে পাচ্ছেন না কোন জবাব।

প্রথম ইনিংসে ৪৫.৪ বল ব্যাট করে ১১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও করুণ দশা। মাত্র ২৯.৩ বলে ১২৩ রানে শেষ। দুই ইনিংস মিলিয়েও এক দিনের সমান ৯০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি।

৩৩৯ রান তাড়ায় চতুর্থ ইনিংসে মেরে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অস্থির, ফলে ধস নামতেও লাগেনি সময়। অধিনায়কের মতে উইকেটে ভাষা পড়ে ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলেন তারা, ‘এ ধরণের উইকেটে যদি আপনি ইন্টেন্ড শো না করেন, আপনি যদি পজিটিভ না থাকেন, আপনি যদি বোলারকে সুযোগ দেন সেটেল করার তাহলে আপনি বিপদে পড়বেন।’

মতিগতি ইতিবাচক রাখতে গিয়ে ১২৩ রানেই শেষ। অনেকটা সময় বাকি থাকার পরও কেন আরেকটু বাড়তি নিবেদন নয়। অধিনায়ক বারবার শোনালেন অভিপ্রায় রাখার কথা, যে অভিপ্রায় রাখতে গিয়ে ম্যাচটা নিজেদের পক্ষে নিতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘আমাদের মধ্যে যে কথা হয়েছে, আমাদের অভিপ্রায়টা ইতিবাচক থাকবে। আমরা যদি বারবার ডিফেন্ড করতে থাকি, বোলারদের সুযোগ দিতে থাকি এখানে একটা বল স্পিন হচ্ছে, একটা সোজা যাচ্ছে, একটা লোয়ার বাউন্স হচ্ছে, একটা নিচেও নামছে। সেদিক থেকে মনে হয় আপনি সুযোগ দিচ্ছেন। সেদিক থেকে বলব, ওরা সবসময়য় প্রেশারটা বজায় রেখেছে।’

টানা দুই ইনিংসে একই রকম ধসে পড়ার কোন জবাবও খুঁজে পেলেন না অধিনায়ক, স্বীকার করলেন যা হওয়ার হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসেই ‘জবাব দেওয়া আসলে কঠিন। কারণ, অবশ্যই খুব হতাশাজনক। আমার মনে হয় যে, এ ধরণের উইকেটে হয়তো বা আমরা জানতাম টার্গেট চেজ করব। আমাদের সবারই ধারণা ছিল যে এই টেস্টে আমরা রেজাল্ট দেখব। যেখানে আমরা জানি, স্পিনসহায়ক উইকেট। প্রথম ইনিংসেই আমাদের ভালো করা উচিত ছিল। আমার মনে হয় এই জিনিসটা আমরা পিছিয়ে গেছি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin urges all to work together to overcome challenges of economy

'We are in the midst of all sorts of challenges,' says the finance adviser

1h ago