সেরা কম্বিনেশন খুঁজে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা
কুমার সঙ্গাকারা আর মাহেলা জয়াবর্ধনের অবসরের পর ঘোর অমানিশা এসেছিল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে। সব ফরম্যাটেই ভুগতে থাকা দল খুঁজে ফিরছিল সঠিক কম্বিনেশনের। সাদা পোশাকে আপাতত সেই চিন্তার দূর হয়েছে বলে মনে করেন রঙ্গনা হেরাথ।
শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারে আস্থা যোগাচ্ছেন কুশল মেন্ডিস আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। মাত্র ৩ টেস্ট খেলেই মিডল অর্ডারে আস্থার বড় নাম হয়ে উঠেছেন রোশেন সিলভা। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি এসেছে এই তিনজনের ব্যাট থেকেই। ঢাকার ব্যাটিং দুরূহ উইকেটেও দুই ইনিংসে দুই ফিফটি করে ম্যাচ সেরা রোশেন। হেরাথ মনে করছেন শ্রীলঙ্কা খুঁজে পেয়েছে মাননসই লাইনআপ,
'সাঙ্গা আর মাহেলার যাওয়ার অনেক রানও তাদের সঙ্গে চলে গেছে। এখন গত তিন বছরে আবার সব পুনর্নির্মাণ চলছে। এখন আমরা একটি মাননসই দল দেখছি তরুণ আর অভিজ্ঞতার মিশেলে। বিশেষ করে রোশেন, ধনঞ্জয়া আর কুশলের কথা বলব।'
গত ভারত সফরে দিল্লি টেস্টে অভিষেক হয় রোশেন সিলভার। এক ইনিংসে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশে এসে চট্টগ্রাম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে হাঁকান সেঞ্চুরি। ঢাকায় প্রথম ইনিংসে ৫৬ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসের চারটাতেই পেরিয়েছেন ফিফটি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাতেই পোক্ত এই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে দলের অনেক পাওনা দেখছেন হেরাথ, রোশেনকে আমি অনেক দিন থেকে দেখছি। সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করেছে। ওই অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে। তাকে অভিনন্দন জানাই। সে অনেক কিছু দিবে।'
শ্রীলঙ্কার কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়ার সিরিজে নিজের দারুণ এক অর্জনও এসেছে হেরাথের। ৪১৫ উইকেট নিয়ে ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে টেস্টে সব ধরনের বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে তিনিই এখন সর্বাধিক উইকেটশিকারি।
‘সত্যি কথা বললে এটা অনেক বড় অর্জন। ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে গেলাম। আমার পুরো ক্যারিয়ারে যারা অবদান রেখেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।'
ব্যাটসম্যানদের মতো নতুন আসা স্পিনাররাও লঙ্কানদের দিচ্ছেন সুখের দিনের আভাস। ঢাকায় অভিষেকেই অফ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়া পেয়েছেন ৮ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৫ উইকেটেই ধসে পড়ে বাংলাদেশ।
‘এটা দারুণ ব্যাপার। আকিলাকে অভিনন্দন। সে যখন কঠিন সময় পার করছিল তখনও তাকে আমি জানি। আমার মনে হয় সে আগামীর তারকা।’
Comments