ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে জড়ায় মোমেনা, আসমাউল
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ও ঢাকার মিরপুরে পৃথক দুটি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার দুই বোন ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম আজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দুজনের মধ্যে বড় বোন মোমেনা সোমা (২৪) ইন্টারনেটে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কার্যক্রম দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।
হামলার জন্য কোরানের ভুল ব্যাখ্যাকেও দায়ী করেন মনিরুল। তিনি বলেন, বড় বোনের পথ ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়েছিলেন মোমেনার ছোট বোন আসামাউল হুসনা (২২) ওরফে সুমনা।
গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মোমেনা মেলবোর্নে এক ঘুমন্ত ব্যক্তির কাঁধে ছুরিকাঘাত করেন। আর তার ছোট বোন আসমাউল ঢাকার মিরপুরে এক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেন।
মনিরুল বলেন, ২০১৫ সালে তাদের মা মারা যাওয়ার পর মোমেনা বিপথগামী হয়ে পড়েন।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র থেকে মনিরুল জেনেছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি স্টুডেন্ট ভিসায় মেলবোর্ন যাওয়ার আগেই মোমেনা সেখানে জঙ্গি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। মেলবোর্নে পৌঁছানোর পর তিনি ৫৬ বছর বয়সী মিল পার্ক নামের একজনের বাসায় একটি ঘর ভাড়া নেন। পরিকল্পনা মোতাবেক শনিবার রাতে ঘুমন্ত মিল পার্কের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করেন মোমেনা।
হামলার ধরন সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বলেছে, “ইসলামিক স্টেট দ্বারা উদ্বুদ্ধ” হামলাগুলোর মত ছিল সেটি। ঘটনাস্থল থেকে মোমেনাকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুল বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগেই মোমেনা তার বোনকে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে। বাংলাদেশে অন্তত একজন পুলিশকে হত্যা করে তাকে “শহীদ” হতে বলা হয়েছিল।
সোমবার মোমেনার ব্যাপারে তদন্তের জন্য পুলিশ কাজীপাড়ায় তাদের বাড়িতে গেলে বোনের নির্দেশমতো আসমাউল ছুরি নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালান। তবে সে যাত্রায় অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পান ওই পুলিশ সদস্য।
জিজ্ঞাসাবাদে আসমাউল “নব্য জেএমবি”র সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Comments