এবার স্বীকার করলেন হাথুরুসিংহে

২০১৪ থেকে ২০১৭। প্রায় সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছেন হাথুরুসিংহে। টাইগারদের স্কিলের শক্তি কিংবা ঘাটতি সব তো জানা আছেই। জানা আছে সবার অ্যাপ্রোচ, চিন্তা ভাবনার জগতও সব নখদর্পণে
Chandika Hathurosingh
সব জিতে মুখে চওড়া হাসি হাথুরুসিংহের। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে যাওয়ার পর পরই বাংলাদেশ সফর। সিরিজের শুরুর আগে তাই প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ দলের নাড়ি নক্ষত্র চেনা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবেন তিনি? প্রথম সংবাদ সম্মেলনে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তা। এবার শেষ বেলায় এসে মানলেন তার বাংলাদেশ ‘জ্ঞান’ বেশ কাজে লেগেছে পুরো সিরিজে।

ঘরের মাঠ, সাম্প্রতিক ফর্ম। সব মিলিয়ে সিরিজ শুরুর আগে ফেভারিট ছিল বাংলাদেশই। ত্রিদেশীয় সিরিজে মাশরাফি মর্তুজার দলের শুরুটাও হয়েছিল দাপটের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল রেকর্ড ব্যবধানে। ওদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা শ্রীলঙ্কা ছিল চাপে। তৃতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। ফাইনালের আগের খেলায় বাংলাদেশকে একশ রানের নিচে গুটিয়ে দেওয়ার পর জিতে যায় ফাইনালেও।

Chandika Hathurosingh
অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে পরিকল্পনায় ব্যস্ত হাথুরুসিংহে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
হেরে যাওয়া ফাইনালেই চোটে পড়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ড্র করার পর ঢাকাতে ব্যাটিং ধসে লঙ্কানদের কাছে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সেই তেজ নিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ধরাশায়ী করেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ ম্যাচের আগেই  নির্ভার হাথুরুসিংহে ভেতরের চিন্তাটা আর গোপন রাখলেন না।

২০১৪ থেকে ২০১৭। প্রায় সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছেন হাথুরুসিংহে। টাইগারদের স্কিলের শক্তি কিংবা ঘাটতি সব তো জানা আছেই।  জানা আছে সবার অ্যাপ্রোচ, চিন্তা ভাবনার জগতও সব নখদর্পণে । কদিন আগেই ছিলেন যে দলের প্রধান কোচ, পরের সিরিজে তাদের প্রতিপক্ষ বনে যাওয়ায় পরিকল্পনা করা সহজ হয়েছে তার। 

বাংলাদেশ নিয়ে জানাশোনা কাজে লেগেছে কিনা এমন প্রশ্ন এবার সহজ স্বীকারোক্তি,  ‘আমার মনে হয়, হ্যাঁ। কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে  আমাদের কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল। আমরা জানতাম চাপে পড়লে তারা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়।’

প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশের দাপট নাকি আশাই করেছিলেন তিনি। পরে পালটা জবাব দিতে পেরেও আছেন তৃপ্ত। বাংলাদেশ থেকে প্রায় সব জিতে যাওয়ায় মুখের হাসিও হয়েছে অনেক চওড়া,

‘প্রথম দুই ম্যাচে তারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যেটা আমি আশা করেছিলাম। এটা না হলে আমি বরং হতাশ হতাম। আমি খুশি ছিলাম। এবং তারপর আমাদের ফিরে আসার পর আরও খুশি হই। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এটা খুবই সন্তুষ্ট জনক সফর। কিন্তু আবারও বলছি, আমি যাওয়ার পরও চেয়েছি বাংলাদেশ ভালো করুল। তারা কেমন করছে তাতে আমার চোখ ছিল।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

4h ago