সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভের ডাক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সকল সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ আসনে কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়। আর মেধার মূল্যায়নে নিয়োগ পায় মাত্র ৪৪ শতাংশ।

আজ সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে কয়েকশ ছাত্রের উপস্থিতিতে সংগঠনের পক্ষে ঢাবির ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ইমরান হোসেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আট দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল:

১. কোটা সংস্কার করে সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে হবে

২. কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে খালি থাকা পদগুলোতে মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে

৩. কোটা সুবিধা নিয়ে চাকরি পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে

৪. একবার কোটা সুবিধা নিয়ে পুনরায় অন্য চাকরিতে যেতে চাইলে মেধার ভিত্তিতে যেতে হবে

৫. প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অভিন্ন কাট মার্ক নিশ্চিত করতে হবে

৬. বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে

৭. শুধু কোটায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না

৮. সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের পূর্ণ বাস্তবায়ন ও নিয়োগে বৈষম্য বন্ধ করা

 

এসময় কোটা সংস্কার করে প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ভারতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার জন্যও সরকারের প্রতি দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ নং অনুচ্ছেদে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ রেখে প্রজাতন্ত্রের সব চাকরিতে নিয়োগে বৈষম্য বিলোপ করার কথা বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

2h ago