ইমরান খানের বিয়ের ‘হ্যাটট্রিক’

বুশরা মানেকার গলায় মালা পরিয়ে তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন তিনি।
ইমরান খানের বিয়ের হ্যাটট্রিক
তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করলেন ইমরান খান। ছবি: টুইটার

খেলা ছেড়েছেন বহু আগে। বল হাতে তাই আর হ্যাটট্রিক করার সুযোগ নেই ইমরান খানের। তবে তাতে কি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই অধিনায়ক নারী পটানোর খেলাতেও যে ছিলেন পটু। হ্যাটট্রিক হয়ে গেল সেখানেই। বুশরা মানেকার গলায় মালা পরিয়ে তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন তিনি।

খেলা ছাড়ার পর পুরো দস্তুর রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ৬৫ বছর বয়সী ইমরানের এর আগে দুই স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের বরাতে কদিন থেকেই ইমরানের বিয়ের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল। এবার সত্যি মেলল ডানা।

ইমরানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে বিয়ের খবর। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,  দলটির প্রধান ইমরান খান তৃতীয়বার বিয়ে করেছেন। রোববার লাহোরে বুশরার ভাইয়ের বাসায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ইনামুল হক জানান, বিয়েতে কনের মা, ভাইবোন ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ইমরানের কাছের মানুষেরা ছিলেন না। বিয়ে পড়ান মুফতি সাঈদ।

৪০ বছর বয়সী ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকা দেশটির পাক পাত্তানের পীর পরিবারের মেয়ে। স্থানীয় গণমাধ্যম বুশকাকে  ‘ফেইথ হিলার’ হিসেবে অভিহিত করছে। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে।

টুইটারে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে নব পরিণীতা স্ত্রীকে পাশে নিয়ে বসে আছেন ইমরান। অবশ্য তার নতুন স্ত্রী বুশরার চেহারা ঢাকা ছিল।

১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করা দলের অধিনায়ক ছিলেন ইমরান। নব্বুই দশকে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের খ্যাতিও ছিল তার। খেলোয়াড়ি জীবনে সুদর্শন এই ক্রিকেটার প্লে-বয় হিসেবেও ছিলেন বেশ আলোচিত। খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে নামেন। বর্তমান দেশটির অন্যতম বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাম পার্টি (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান।

 

১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ ধনকুবের পরিবারের কন্যা জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন ইমরান। ২০০৪ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৫ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বিবিসির উপস্থাপিকা রিহাম খানকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১০ মাস পেরুতেই সেই বিয়েও ভেঙ্গে যায় তার। এবার জীবনের আরেক ইনিংস শুরু করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago