বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের নেপথ্যে পাকিস্তান ও চীন: ভারতীয় সেনাপ্রধান

ভারতের সাথে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস/ফাইল ছবি

ভারতের সাথে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

তিনি বলেন, ভারতের ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল রাখতে অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। আর পাকিস্তানকে এই কাজে সহায়তা করছে চীন।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে একটি সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত আজ এসব অভিযোগ তুলেছেন বলে এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে।

আসামের পাঁচটি জেলা থেকে এখন নয়টি জেলায় মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে রাজ্যটিতে বদরউদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর প্রভাব বৃদ্ধি কথাও উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান। তার পর্যবেক্ষণ, ১৯৮০’র দশকে বিজেপির যে গতিতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এআইইউডিএফ তার চেয়েও দ্রুত গতিতে বড় হচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একে হুমকি হিসেবেই দেখছেন তিনি।

পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে বিপিন রাওয়াত বলেন, “আমাদের পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটি পরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। তারা সবসময়ই একটি ছায়াযুদ্ধের মাধ্যমে এই এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।”

তিনি বলেন, “খুব ভালোভাবেই ছায়াযুদ্ধের মত করে একটি খেলা খেলছে আমাদের পশ্চিমের প্রতিবেশী। অঞ্চলটিকে অস্থির করে তুলতে এতে সমর্থন দিচ্ছে আমাদের উত্তরের সীমান্তের দেশটি (চীন)। সামনে আমরা আরও অনুপ্রবেশ দেখতে পাব।”

এআইইউডিএফ এর উত্থান ও ১৯৮৪ সালে বিজেপি মাত্র দুটি আসনে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে জেনারেল রাওয়াত বলেন, তাদের দিকে তাকালে দেখবেন বিজেপি বছরের পর বছর যে গতিতে বড় হয়েছে তার তুলনায় এই দলটি অনেক দ্রুতগতিতে শক্তি অর্জন করছে।

আসামের মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার দাবিতে ২০০৫ সালে গঠিত হয় এআইইউডিএফ। এই দলটি থেকে এখন লোকসভায় তিন জন প্রতিনিধি ও রাজ্য আইনসভায় ১৩ জন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে উত্তপ্ত আসামের রাজনৈতিক অঙ্গন। কথিত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সেখানে নাগরিক পুঞ্জি করছে সরকার। এতে যুক্ত হওয়ার জন্য তিন কোটি ২৯ লাখ মানুষের আবেদন জমা পড়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর যে খসড়া প্রকাশিত হয় তাতে এক কোটি ৯০ লাখ আবেদনকারীর নাম ওঠে। বাকি এক কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে। এই তালিকা যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে এখন।

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ আসামে এখন বাঙালি খেদানোর চেষ্টা চলছে। সেখানে তিন-চার দশক ধরে যারা বসবাস করছেন তাদেরও নাম ওঠেনি। মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির জন্য ঘৃণ্য রাজনৈতিক চাল হিসেবে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এসব করাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the job is done

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

4h ago