মোহামেডানকে গুঁড়িয়ে শীর্ষেই রইল আবাহনী
ঢাকার মাঠে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা। তবু নেই আগের ঝাঁজ। লড়াই হলো একপেশে, প্রায় ফাঁকা গ্যালারিতেও ছড়ালো না কোন উত্তাপ। নিরোত্তাপ ম্যাচে পুরোটাই দাপট আবাহনী লিমিটেডের। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে তারা হারিয়েছে ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান লড়াই উপলক্ষে আয়োজকরা দেখিয়েছিলেন বাড়তি তৎপরতা। তবে মাঠের ক্রিকেটে হয়েছে ম্রিয়মাণ।
সকালের মেঘলা আকাশ দেখে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল মোহামেডান। ১৪ রানেই ওপেনার সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে শুরুটাও হয়েছিল ভালো। তবে দ্বিতীয় উইকেটে পরিস্থিতি সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়। দুজনে যোগ করেন ৭০ রান। শান্ত ২৬ রান করে ফিরলেও এনামুল তুলে দেন আরেকটি ফিফটি। শুরুতে কিছুটা মন্থর থাকা এনামুল পরে বেরিয়ে আসছিলেন খোলস থেকে। তবে আগাতে পারেননি বেশিদূর। ৮১ বলে ৬৩ রান করা এনামুলকে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
রান এসেছে আবাহনীর মিডল অর্ডার থেকেও। মোহাম্মদ মিঠুন দ্রুত ৪৭ রান করে ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেন টেনেছেন দলকে। একদম ৪৮তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৬৭ রান। তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। তবে আকাশী নীলদের রানের গতি শেষ দিকে নেমে বাড়িয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। ১৭ বলে দুই ছক্কা আর ১ চারে করেছেন ২৬ রান। তাতে ২৫৯ পর্যন্ত যেতে পারে আবাহনী। সাদা-কালোদের পক্ষে মিডিয়াম পেসার মোহাম্মদ আজিম ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট।
দুপুর বেলায় ব্যাট করার জন্য ক্রমশ ভালো হতে থাকা উইকেটে ২৬০ রান খুব বড় লক্ষ্য নয়। তবু ব্যাটসম্যানদের টিকতে না পারার ব্যর্থতায় ওই রানই প্রায় পাহাড়সম হয়েছে মোহামেডানের জন্য। শুরুতেই ওপেনার জনি তালুকদারকে হারালেও আরেক তালুকদার ছিলেন তেতে। জনির বড় ভাই রনি খেলছিলেন দাপটের সঙ্গে। ওয়ানডাউনে শামসুর রহমান শুভকে হারালেও চারে নামা ইরফান শুকুরও পাচ্ছিলেন তাল। মোহামেডানের রান বাড়ছিল তরতরিয়ে। তবে রানরেট ঠিক রেখেই মাঝপথেই খেই হারিয়েছে তারা। প্রথম ২০ ওভারে ছয়ের উপর রান রেট রেখেও ব্যাটসম্যানরা ব্যস্ত ছিলেন আত্মাহুতির মিছিলে। রনির ৩৫, ইরফানের ৪০ আর রকিবুলের ২৮ রানের পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে মোহামেডানের ইনিংস। শুরুতে তিন ওপেনারকে তুলে মাশরাফির আর পরে তেমন কিছু করতে হয়নি। মেহেদী হাসান মিরাজ আর ভারতীয় মানপ্রিট গনি মিলে ছেঁটেছেন বাকিটা। প্রায় ২০ ওভার আগেই মোহামেডান গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে।
এই জয়ে ছয় ম্যাচের সবগুলাই জিতে শীর্ষে রইল আবাহনী। সমান ম্যাচে তিনটি করে হার-জিতে পাঁচে আছে মোহামেডান।
অপর দুই ম্যাচ
দিনের বাকি দুই ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ৫৬ রানে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
Comments