সড়কের অবস্থায় এশিয়ায় শেষের দিকে বাংলাদেশ
সড়কের অবস্থার দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে শেষের দিকে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থাটি ২০১৭ সালে এই জরিপ করেছিল।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক তথ্য গবেষণা সংস্থা ডেটালিডস সড়ক অবকাঠামো নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জনমত জরিপের বরাতে ইনফোগ্রাফের মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলোর একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে। এতে সারা পৃথিবীর ১৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে ১১৩ নম্বরে। বাংলাদেশের পেছনে একমাত্র দেশ নেপাল। অবশ্য পার্বত্য এলাকায় হওয়ায় নেপালে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন তুলনামূলক কষ্টসাধ্য।
সড়ক অবকাঠামোতে এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। সারা বিশ্বের নিরিখে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। এর পরই রয়েছে জাপান ও তাইওয়ান। তাদের বৈশ্বিক অবস্থান পঞ্চম ও একাদশ। এশিয়ায় এর পর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া। এই দেশদুটি রয়েছে যথাক্রমে ১৪ ও ২০ নম্বরে। এশিয়ার মধ্যে এই পাঁচটি দেশের সড়ক যোগাযোগ সবচেয়ে উন্নত।
বিশ্বের মধ্যে চীন জায়গা পেয়েছে ৩৯ নম্বরে। নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশটির সড়ক অবকাঠামো উন্নত করছে। সেই সাথে চীনেই রয়েছে ৮৫ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কের নেটওয়ার্ক যা সারাবিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো সড়ক ব্যবস্থা শ্রীলঙ্কার। এর পাশাপাশি ভারতও তাদের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে চলেছে। থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দেশটির অবস্থান ৫১তম। তার নিকটতম প্রতিবেশী দেশদুটি রয়েছে যথাক্রমে ৬০ ও ৭৭ নম্বর অবস্থানে।
এছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভুটানের অবস্থান ৮০ নম্বরে। এর পর রয়েছে ভিয়েতমান ও লাওস। এই দেশগুলোর সম্পর্কে মন্তব্য বলা হয়েছে, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে এসব দেশে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হয়নি। পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ফিলিপাইন। এর পর রয়েছে মঙ্গোলিয়া (১০৯), বাংলাদেশ (১১৩) ও নেপাল (১১৪)।
Comments