রাখাইনে ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবি জানালেন নোবেল বিজয়ী তিন নারী

শান্তিতে নোবেলবিজয়ী তিন নারী—তাওয়াক্কল কারমান, শিরিন এবাদি ও মারেইড ম্যাগুয়ার আজ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা “গণহত্যা” বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ছবি: পরিমল পালমা

রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের কথা শোনার পর শান্তিতে নোবেলবিজয়ী তিন নারী—তাওয়াক্কল কারমান, শিরিন এবাদি ও মারেইড ম্যাগুয়ার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবিলম্বে “গণহত্যা” বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

আজ ঢাকায় হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। গত রবিবার কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নির্যাতিত নারীদের সাথে তারা সাক্ষাৎ করেন। নির্যাতনের মুখে ব্যাপক সংখ্যায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করার ছয় মাসের মাথায় ঢাকায় এসে তারা রাখাইনে “গণহত্যা” বন্ধের দাবি জানালেন।

নারীপক্ষ ও দ্য নোবেল উইমেনস ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে গত শনিবার উত্তর আয়ারল্যান্ডের ম্যারিড ম্যাগুয়ের, ইরানের শিরিন এবাদি ও ইয়েমেনের তাওয়াক্কল কারমান বাংলাদেশে আসেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ছয় জন নারীর উদ্যোগে ২০০৬ সালে দ্য নোবেল উইমেনস ইনিশিয়েটিভের যাত্রা শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিন নোবেল বিজয়ীই মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি-কে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে মুখ খোলার আহ্বান জানান। সেই সাথে তারা অবিলম্বে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও সু চি’র প্রতি আহ্বান জানান বলে নারীপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ আটকে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা কথা বলার পর মেরেইড ম্যাগুয়ার এবং তাওয়াক্কল কারমান অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তারা রোহিঙ্গা নারীদের প্রতি ন্যায়বিচারের জন্যে লড়াই করার ঘোষণা দেন। রাখাইনে গণহত্যার জন্য সু চি-কে দায়ী করে তারা আন্তর্জাতিক আদালতে এর বিচারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago