নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদ বৈধ

আওয়ামী লীগের সাংসদ নিজাম হাজারী

ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদের বৈধতা নিয়ে করা রিট আজ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এই রায় দেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রিটের শুনানি করে বিভক্ত রায় দিয়েছিলেন। এর পর পাঁচ জন বিচারপতি এই একই রিটের শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেছিলেন।

জালিয়াতির আশ্রয়ে ফৌজদারি মামলার রায়ে কম সাজা খেটেই কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর নিজাম হাজারী সংসদ নির্বাচনের যোগ্যতা ও সাংসদ পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফেনীর যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।

সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সাখাওয়াত তার আবেদনে বলেন, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালত নিজাম হাজারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পরের মাসের ১৪ তারিখ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।

কিন্তু ২০০৫ সালের ১ ডিসেম্বরই তিনি জেল থেকে বেরিয়ে যান। জালিয়াতির আশ্রয়ে তিনি কম সাজা ভোগ করেই ছাড়া পেয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন সাখাওয়াত।

আবেদনে তিনি আরও বলেন, নিজাম হাজারীর ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারে থাকার কথা ছিল। সেই সাথে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও আইনগত বাধা ছিল। সাজা ভোগ নিয়েও তিনি নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।

রিট দাখিলের দিনই হাইকোর্ট রুল জারি করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান যে কেন নিজাম হাজারীর আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে না।

আইজি প্রিজনের দপ্তর থেকে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই হাইকোর্টকে এক প্রতিবেদনে জানায় নিজাম হাজারী আড়াই বছর কম সাজা ভোগ করেই জেল থেকে বেরিয়ে গেছেন।

শুনানির সময় রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতকে বলেছিলেন, নিজাম হাজারী সাংসদ থাকতে পারেন না। আইজি প্রিজনের প্রতিবেদন সত্য হলে তাকে আবার কারাগারে যেতে হবে।

তবে নিজামের আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এই যুক্তির বিরোধিতা করে বলেন যে তাদের মক্কেল পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেই কারাগার থেকে বের হয়েছেন। ফলে এই রিট জনস্বার্থে নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago