মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি পেলো না যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের দমননীতির সমালোচনা করায় যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে প্রবেশে বাধা দিয়েছে সে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
rohingya influx
হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। রয়টার্স ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের দমননীতির সমালোচনা করায় যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে প্রবেশে বাধা দিয়েছে সে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, যুক্তরাজ্য সরকারের দ্য কমনস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্যদের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, নেত্রী অং সান সুচিসহ বিভিন্ন বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য সরকার পরিচালিত সাহায্য কর্মসূচির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে মিয়ানমারে আসার কথা ছিলো।

গত জানুয়ারিতে এই কমিটির দেওয়া এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমার সরকারের সহিংসতার নিন্দা করা হয়। গত আগস্টের পর রোহিঙ্গা-বিরোধী অভিযানে প্রায় সাত লাখ মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার দূতাবাস এই কমিটির সদস্যদের ভিসা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তারা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণেই ভিসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এ ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির প্রধান লেবার পার্টির এমপি স্টিফেন টিগ। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই তাদের ভিসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “মিয়ানমারে ২০১৮-১৯ সালের জন্যে ডিএফআইডির অর্থায়নে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো দেখে আসার যে দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছিলো ভিসা না দেওয়ায় তা ব্যাহত হলো।”

এই কমিটির সদস্যদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য এবং মেগওয়ে অঞ্চলে পরিচালিত যুক্তরাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করার কথা ছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago