বিবর্ণ বাংলাদেশকে অনায়াসে হারালো ভারত

নিদহাস কাপের প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ৬ উইকেটে।
ছবিঃ এএফপি

ব্যাটিংয়ে ভারতকে মোটামুটি মানেরও কোন চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায়নি। ছোট পুঁজি আটকাতে হলে বোলারদের দরকার ছিল দারুণ কিছু করার। সাদামাটা বোলিংয়ে ওদের এক মুহূর্তের জন্যও দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারেনি বোলাররাও। নিদহাস কাপের প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ৬ উইকেটে। 

ভারতের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের কাছে ১৪০ রান মামুলি লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সে লক্ষ্যে পৌঁছারে ভারতকে খরচ করতে হয়নি ৪টির বেশি উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯০ রানের ইনিংসের পর এদিনও ভারতের ব্যাটিং হিরো শিখর ধাওয়ান। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেছেন তিনি।

এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে ছয় দেখায় ছয়বারই হারল বাংলাদেশ।

ছোট লক্ষ্যেও শুরুতে ঝড় তুলতে ভুলেনি রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান। প্রথম তিন ওভারে ওভার প্রতি ৯ করে নিয়ে ভালো শুরু পায় ভারত। চতুর্থ ওভারে গিয়ে ছন্দপতন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড রোহিত। ওয়ানডাউনে প্রমোশন পেয়ে বেশিক্ষণ ঠেকেননি ঋষভ পান্ত। তার স্টাম্প ভেঙ্গেছেন রুবেল হোসেন। এই রুবেলই পরে রায়নার উইকেটও নেন। কিন্তু এরমাঝে ধাওয়ানের সঙ্গে তার ৬৮ রানের ম্যাচ জয়ী জুটি হয়ে যায়। ৪৩ বলে ৫৫ করা ধাওয়ানকে ফিরিয়েছেন দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের উত্তেজনার কিছু বাকি নেই।

মানিষ পান্ডে আর দিনেশ কার্তিক মিলে আনুষ্ঠানিকতা সারার সময় খেলার জন্য পড়ে আছে আরও ৮ বল । ১৯ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন পান্ডে। 

এর আগে ভিন্ন চিত্র ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ১২০ বলের খেলায় ৫৫ বল থেকেই কোন রান নিতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বলের মেধা বিচার না করেই চালাতে গিয়ে উইকেট পড়েছে, স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় বেড়েছে চাপ। সেই চাপে সারাক্ষণ হাঁসফাঁস করেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় ফিল্ডাররা গোটা চারেক ক্যাচ না ফেললে অবস্থা হতে পারত আরও করুণ। ওদের বোলাদের লাইন লেন্থও ছিলো বেশ দিশেহারা। ১১টি ওয়াইড আর ২টি নো বল না পেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ এর আশেপাশেই থাকত।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশের শুরুটাই হয় ছন্দপতনে। ক্রিজে খানিকটা নড়বড়ে সৌম্য সরকার দারুণ ছক্কা আর চারে সরিয়েছিলেন চাপ। জয়দেব উনাদকাতের বলে ফ্লিক করে ছক্কা মারার পরেই বলেই একই শট খেলতে গেলেন। এবার শর্ট ফাইন লেগে নিচু ক্যাচ হাতে জমান যুজবেন্দ্র চেহেল। এই চেহেল পরে বল করতে এসেও ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। আরেক স্পিনার ওয়াশিটং সুন্দর ৪ ওভার বল করে দেন ২৩ রান। তবে উইকেট পাওয়ার দিক থেকে সেরা বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাত। ৩৮ রান ৩ উইকেট নেন তিনি।

মন্থর শুরুর পর শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুই চার মেরে আড়ষ্টতা কাটিয়েছিলে তামিম। ফিরেছেন পরের বলেই। শর্ট ফাইন লেগে তার দেওয়া সহজ ক্যাচ নিতে কোন অসুবিধা হয়নি উনাদকাতের। ওয়ানডাউনে নেমে চার দিয়ে শুরু করা লিটন পরে দিয়েছিলেন টানা দুইটি সুযোগ। তার উঠানো ক্যাচগুলো ফেলে দেন রায়না, চেহেলরা।

ওদিকে ক্রিজে এসেই স্বচ্ছন্দে খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ফেরান বিজয় শঙ্কর। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও হতাশ করেন বিজয় শঙ্করকে উইকেট বিলিয়ে। পরে  সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন লিটন দাস। তবে দ্রুত রান বের করতে বেগ পেতে হয় তাদের।  রান বাড়ানোর চাপেই ফেরেন লিটন। ৩০ বলে ৩৫ রান করে এগিয়ে এসে পেটাতে গিয়ে ক্যাচ দেন চেহেলের বলে।

অনেকদিন থেকে ফর্ম হারিয়ে দিশাহারা সাব্বির এদিন নিজেকে কিছুটা খুঁজে পেয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৬ বলে ৩০ রান। তবু ইনিংস শেষেই টের পাওয়া যায়, বাংলাদেশের রানটা যথেষ্ট কম।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

6h ago