খালেদাকে কারাগারে রেখে যারা নির্বাচনের কথা ভাবছেন তারা কল্প-জগতে বাস করছেন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা নির্বাচনের কথা ভাবছেন তারা কল্পজগতে বাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “দেশনেত্রী আজ জেলে। কেন জেলে তা সবাই জানেন। তার মামলাটি সম্পূর্ণ জাল-নথির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে বিচারের যে আইন-কানুন তার সবই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে শুধু খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে সেজন্য।”
“তাদের মূল উদ্দেশ্য বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা নির্বাচনের কথা ভাবছেন তারা কল্পজগতে বাস করছেন,” যোগ করেন তিনি।
আজ (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গতকাল আমাদের কর্মসূচি চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এক ছাত্রনেতাকে বিবস্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো। আমি তাকে রক্ষা করতে পারিনি। সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। রাজনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, “দেশনেত্রীর সাজা হয়েছে, জামিন হওয়ার কথা। সেখানেও হস্তক্ষেপ। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তারেক রহমানকে যে বিচারক অব্যাহতি দিয়েছেন সেই বিচারক এখন দেশের বাইরে। তাহলে কোথায় গণতন্ত্র?”
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনও সরকারের এজেন্ডা নিয়ে বসে আছে। এই নির্বাচন কমিশনকে গঠন করা হয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য।”
বিএনপি’র এই শীর্ষ নেতার মতে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, “তাহলে আমাদের সভা করতে বাধা কেন? আমাদের প্রতিটি প্রোগ্রামই শান্তিপূর্ণ, প্রতিটিতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও বলছেন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। ক্ষমতায় থাকতে হলে সব রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে।”
জাতীয় পার্টির (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কেএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Comments