সীমান্তে ‘অপরাধ মুক্ত’ এলাকা ঘোষণা

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার এলাকাকে “ক্রাইম ফ্রি জোন” বা অপরাধ মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার সাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে কল্যাণী বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা এবং বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ক্রাইম ফ্রি জোন
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আট কিলোমিটার এলাকাকে গত শুক্রবার অপরাধমুক্ত ঘোষণা করেছে বিজিবি ও বিএসএফ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার এলাকাকে ক্রাইম ফ্রি জোন বা অপরাধ মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার সাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে কল্যাণী বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা এবং বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের আঞ্চলিক কমান্ডার খালেদ আল মামুন, যশোর এক আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনসহ সহ বাংলাদেশের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২ থেকে ৭ অক্টোবর দিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে বেআইনি, অসামাজিক এবং সন্ত্রাসবাদী গতিবিধি রোধে ‘অপরাধ মুক্ত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন হয় এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের সম্মতিতে ভারতের দিকে বিএসএফ এর ৬৪ ব্যাটেলিয়নের অধীন গুনারমঠ ও কল্যাণী বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) এবং বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে বিজিবি বিওপি পুটখালী ও দৌলতপুর এর দায়িত্বপূর্ণ সীমা স্তম্ভ সংখ্যা ১৭/১৪৩ আর থেকে ১৮/১-এস পর্যন্ত মোট ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার সীমান্তকে পরীক্ষামূলক ভাবে “অপরাধ মুক্ত অঞ্চল” হিসেবে ঘোষণার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

এর আগে এদিন সকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। বিজিবি প্রতিনিধি দলটিকে স্বাগত জানান বিএসএফ ডিজি।

বর্তমানে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করা হলেও আগামী দিনে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের আরও এলাকাকে পর্যায়ক্রমে অপরাধ মুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। স্থানীয় মানুষ এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে এই অপরাধমুক্ত এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে সার্চ লাইট ও থার্মাল সেন্সর।

বিএসএফ সূত্রের খবর, এলাকায় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সমন্বয় রেখে যৌথ টহলদারি চালাবে। এজন্য সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে দুইদেশের সীমান্তে দুটি বর্ডার লিয়াজো পোস্ট তৈরি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

5h ago