ত্রিপুরার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের নালিশ
ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার সাফাই গেয়ে টুইট করার অভিযোগে সেখানকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কলকাতার শীর্ষস্থানীয় একদল বুদ্ধিজীবী দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় বিজেপির দলীয় নেতাদের মত আচরণ করছেন।
যে টুইট ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত তাতে রাজ্যপাল লিখিলেছিলেন, একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কিছু জিনিস, আরেকটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ইচ্ছা করলে নাও রাখতে পারে। অভিযোগকারী বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় শপথ নেওয়া কোনও রাজ্যপাল এই মন্তব্য করতে পারেন না।
লেনিনের মূর্তি গুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্কিত টুইটের জন্য অভিযুক্ত রাজ্যপাল তথাগত রায় অবশ্য বলেছেন, সংবিধানের কোনও ধারাই তিনি লঙ্ঘন করেননি। এমন কি এই বিষয়ে কে কি অভিযোগ করলেন, সেটাও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার পরপরই টুইটে রাজ্যপাল তথাগত রায় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির মতো মন্তব্য করেন। ওই পোস্টটি উসকানিমূলক বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, নবনীতা দেবসেন, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমন, শোভা প্রসন্ন, জয় গোস্বামী, গৌতম ঘোষ, আবুল বাশার, জয়া মিত্র, লোপামুদ্রা মিত্র, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত প্রমুখ বিশিষ্ঠজনদের স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগপত্রটি শুক্রবারই রাষ্ট্রপতি ভবনে মেইলে পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান লঙ্ঘন করায় অবিলম্বে যেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রায় আড়াই দশকের বামফ্রন্টের সরকারকে কার্যত আস্তাকুড়ে ফেলে ত্রিপুরা বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে। ৬ তারিখ ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজ্যটি রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়। এমন কি ভেঙে ফেলা হয় দক্ষিণ ত্রিপুরায় একটি বিশালাকৃতির লেনিনের মূর্তি। ওই মূর্তিভাঙা নিয়ে যখন ভারত জুড়ে তুমুল প্রতিবাদের ঝড় উঠে ঠিক সেই সময় ত্রিপুরার বর্তমান রাজ্যপাল তথাগত রায় এমন মন্তব্য করেন টুইটে।
প্রসঙ্গত, তথাগত রায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন শীর্ষ নেতাও ছিলেন।
Comments