এখন ফাইনালের স্বপ্নও দেখতে পারে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপে বাংলাদেশ গিয়েছিল আন্ডারডগ হিসেবে। হারের বৃত্তে থাকা খেলোয়াড়রা তো বটেই টিম ম্যানেজমেন্টের গলাতেও খুব বড় কিছু করার জোর ছিল না। তবে ইতিহাস গড়ে লঙ্কানদের হারিয়ে এবার গলার জোর বড় করতেই পারে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের অবস্থা বলছে ফাইনালের পথে সমান সমান অবস্থা তিন দলেরই।
ভারত-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। তিন দলই দুই ম্যাচ করে খেলে পেয়েছে একটি করে জয়। যদিও রানরেটে সামান্য পিছিয়ে টেবিলের তিনে আছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রানের পাহাড় টপকানো জয়ে সবগুলো দুয়ার খোলে গেছে বাংলাদেশের। আসর জমিয়ে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে কেবল অংশ নিতেই আসেনি তারা।
টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচ ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত যদি হেরে যায় তারা পড়ে যাবে খাদের কিনারে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তখন রোহিত শর্মাদের জিততেই হবে। নইলে বাংলাদেশ চলে যাবে ফাইনালে।
ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কা হেরে গেলেও সুযোগ থাকতে বাংলাদেশের। নিজেদের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হারিয়ে দিলে বাংলাদেশই তখন এগিয়ে যাবে ফাইনালের দৌঁড়ে।
অর্থাৎ টুর্নামেন্টের এখন যা অবস্থা তাতে তিন দলের সামনেই ফাইনালে যাওয়ার সমান সুযোগ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তো বটেই, ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরও এমনটা ভাবা যায়নি।
শনিবার শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে টপকে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টতে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। কোন উপমহাদেশীয় দল এই ফরম্যাটে এত রান তাড়া করে কখনো জেতেনি। এই ফরম্যাটে কখনো দুইশো রানও করতে না পারা বাংলাদেশ প্রথম দুইশোতে গিয়েই করেছে অমন কাণ্ড। অসম্ভবকে সম্ভব করার দিনে মুশফিকুর রহিম খেলেন ৩৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। ওপেন করতে নেমে ১৯ বলে ৪৩ রানে তাণ্ডব তুলেন লিটন দাস। তামিম ইকবাল খেলেন ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।
Comments