অস্ট্রেলিয়া থেকে সুখবর নিয়ে এলেন সাকিব
আঙুলের চিকিৎসা নিতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া সাকিব আল হাসান সেখান থেকে সুখবর নিয়ে ফিরেছেন। তার চোটের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো, দরকার হচ্ছে না কোন অস্ত্রোপচারের। মিরপুরে এসে হালকা ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন তিনি।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খেলাঘরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিল শেখ জামাল ধনমন্ডি। ইনিংস বিরতিতে মাঠে ঢুকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে শেখ জামালের খেলোয়াড়দের সঙ্গেই কিছুক্ষণ নক করেন সাকিব। পরে ইনডোরে গিয়ে সময় নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দল নিদহাস কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় থাকলেও সাকিবকে উড়ে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়ায়। ৯ তারিখ মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড হয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানান সাকিবের চোট সারাতে আপাতত আর বেশি কিছু করতে হচ্ছে না, ‘ ওখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উনি সিদ্ধান্ত নেন বড় কোন ইন্টারভেনশনে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। উনি প্রদাহবিরোধী একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এই ওষুধটা ধীরে ধীরে কার্যকর হবে। যদি ওষুধটা কার্যকরী হয় ৭-১০ দিনের মধ্যে সে পুরোপুরি স্পোর্টিং অ্যাকটিভিটিতে ফিরতে পারবে।’
এই ইনজেকশন পুশ করার পর সাকিব বেশ স্বস্তি অনুভব করছেন বলে ডা. দেবাশীষ জানান, ‘ব্যথা অনেকটাই বেটার। টোটাল অগ্রগতিটা ইতিবাচক। এভাবে যদি চালিয়ে যেতে পারি ওই সময়ের মধ্যেই স্পোর্টিং অ্যাকটিভিটিতে ফিরতে পারবে।’
তবে স্পোর্টিং ফিটনেস ফিরে পেলেও ম্যাচ ফিটনেস পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সাকিবকে। নিদহাস কাপের পর খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচও নেই। তবে আইপিএলের শুরু থেকেই সাকিবের থাকা এখন অনেকটাই নিশ্চিত,
‘ম্যাচ ফিটনেসের জন্য আরেকটু সময় নিতে হবে। কেননা মনস্তাত্ত্বিক একটা ব্যাপার কিন্তু থেকেই যায়। সেটা অবশ্যই সাকিব সিদ্ধান্ত নিবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি আপাতত স্পোর্টিং ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে।’
গত ২৭ জানুয়ারি ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের গোড়ালি মচকে যায়। ফেটে যায় আঙুলের বেশ কিছুটা অংশ। চোট এতই গুরুতর হয়ে যায় যে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। প্রথমে নিদহাস কাপের দলে থাকা রাখা হলেও পরে ছিটকে যান সেখান থেকেও।
Comments