জিতেও আক্ষেপ মোহামেডানের, সুপার সিক্সে শেখ জামাল ধানমন্ডি
সুপার সিক্সে যেতে নিজেদের জেতার সঙ্গে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হারের প্রতীক্ষায় ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নাটকীয়তার পর জিতেছে দুই দলই। এতে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়েছে শেখ জামালের।
মঙ্গলবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে প্রাথমিক পর্বের শেষ রাউন্ডে বিকেএসপিতে কলাবাগানকে ২ উইকেটে হারায় মোহামেডান। ফতুল্লায় ব্রাদার্সের বিপক্ষে শেখ জামালের জয় ৭৪ রানের। মিরপুরে দিনের অপর ম্যাচে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে অগ্রণী। জিতলেও শেষ তিন দলের মধ্যে থাকায় রেলিগেশন লিগ খেলতে হবে অগ্রণী ব্যাংককে।
বিকেএসপিত ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানকে ভয় ধরানো ব্যাট করছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার সেঞ্চুরিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২৬০ রান করে কলাবাগান। ১২৪ বলে ১৩ চার আর ৩ ছক্কায় ১২৭ রান করে আশরাফুল একাই টানেন কলাবাগানকে। এক পর্যায়ে তিনশ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২৬০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৪৯ রানে ৬ উইকেট নেন কাজী অনিক।
২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সাদা কালো শিবির জিতেছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এনামুল হক ও রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে এসেছে ফিফটি। অধিনায়ক শামসুর রহমান করেন গুরুত্বপূর্ণ ৩৮। তবু স্বস্তিতে ছিল না তারা। ২৩৪ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে পড়েছিল হারের সামনে। শেষ দিকে তাইজুল ইসলামের ব্যাটে কিনারে ভিড়ে তরী। ৩২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তাইজুল, কাজি অনিকের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১৫ রান।
রোমাঞ্চকর জয়ের পরও উল্লাস করতে পারেনি মোহামেডান। ফতুল্লা থেকে যে ততক্ষণে পৌঁছেছে খারাপ খবর। শেখ জামালকে মাত্র ১৮৪ রানে গুটিয়ে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল ব্রাদার্স। কিন্তু ১৮৫ রান তাড়া করতে গিয়েও পারেনি তারা। আবু জায়েদ রাহি, সোহাগ গাজী আর ইলিয়াস সানির তোপে থেমে যায় ১১০ রানেই।
এই হারে পয়েন্ট টেবিলের শেষ তিন দলের মধ্যে থাকায় রেলিগেশন লিগ খেলতে হবে ব্রাদার্স ইউনিয়নকেও। অবনমন থেকে বাঁচার লড়াইয়ে অগ্রণী ব্যাংকের পাশাপাশি তাদের আরেক প্রতিপক্ষ কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। এবারের লিগে ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতেছে কলাবাগান। মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে।
পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে থেকে সুপার সিক্সে খেলবে আবাহনী লিমিটেড। এরপরে আছে, লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ, খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি, প্রাইম দোলেশ্বর, শেখ জামাল ধানমন্ডি ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
Comments