‘এটাকে খেলার অংশই বলতে হবে এখন’
ক্রিকেটে প্রচলিত নিয়মে বল বিকৃত করা যায় না। এমন কাজকে বলা হয় খেলার চেতনা পরিপন্থী। কিন্তু বিশ্বের নামীদামী অনেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই আছে টেম্পারিং করার অভিযোগ। শাস্তির তালিকাতেও দেখা যায় নামডাকওয়ালা ক্রিকেটারদের নাম। বল টেম্পারিং অনৈতিক হলেও এটি এখন খেলার অংশ হয়ে গেছে বলে মত খালেদ মাহমুদের।
সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে মিরপুরে এসে ঢাকার ক্রিকেটে বল টেম্পারিংয়ের কথা স্মরণ করেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ। মাহমুদের দেখায় এই কাজে পটু পাকিস্তানিরাই, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানি অনেক খেলোয়াড় লিগ খেলতে আসত। ঢাকা লিগে এটা অনেক হতো। অনেক অভিযোগ ছিল এটা নিয়ে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখবেন যে, কোন বোলার প্রথম ৫ ওভারে ৪০ রান দিত, পরে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিত। বল রিভার্স হতো এই কারণে। পাকিস্তানিরা যখনই আসত এটা হতো। ধরে নিতাম যে তারা আসলে এটা জানে বা করে।’
তবে পাকিস্তানিদের দেখে এই বিদ্যা কখনই রপ্ত করেনি বাংলাদেশের কেউ। এই কাজে বাংলাদেশের কেউ এখনো বিশারদও নন, ‘আমরা সব সময় ফেয়ার ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের এমন (টেম্পারিং করার) বিশেষজ্ঞও নাই বলতে গেলে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখনো খেলতে আসেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। তবে সেখানে বিদেশি খেলোয়াড় কোটা কমেছে, বেড়েছে টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলে। ফ্রেঞ্চাইজি এই আসরে বিদেশিদের দ্বারা টেম্পারিং হতে পারে বলে ধারনা ক্যারিয়ারে মিডিয়াম পেস বল করা মাহমুদের, ‘প্রিমিয়ার লিগে এখন সুযোগটা কম। তিনজন খেলত আগে, এখন একজন খেলে। বিপিএলে কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে না যে তা না। হয়তবা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারি না। এটা যারা করে তারা অনেক চতুরভাবে করে, অনেক পন্থা অবলম্বন করে।'
বল টেম্পারিং করে বাড়তি সুবিধা নেওয়া নৈতিক নয়, বেআইনিও। তবে এই টেম্পারিং করার অভিযোগ আছে অনেক কিংবদন্তীতুল্য ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেও। ভিভ রিচার্ডস, রিচার্ড হ্যালডির মতো তারকারা তো টেম্পারিং বৈধ করার পক্ষে। টেম্পারিং সমর্থন না করলেও মাহমুদের মতে ব্যাপকতার কারণে এটি খেলারই অংশ হয়ে গেছে, ,‘এটা ফেয়ার না। কিন্তু অনেক লিজেন্ড প্লেয়াররা এটা করেছে কাজেই এটাকে খেলার অংশই বলতে হবে এখন।’
Comments